নিজস্ব প্রতিবেদক: গুইমারার সোহেল প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পলায়নের ঘটনায় প্রশাসন ও সমাজ নিরব। খাগড়াছড়ির গুইমারা বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিন সন্তানের জনক সোহেলের হাত ধরে কুমিল্লা জেলার সৌদিআরব প্রবাসী মোবারক হোসেনের স্ত্রী রিনা বেগম তার ৮ বছরের কন্যা সন্তান রেখে পালিয়ে আসে।এই ঘটনা সংবাদ পত্রে প্রকাশের পরেও সমাজ ও প্রশাসন নিরব , অভিযোগকারী রুশিয়া বেগম জানান, মাটিরাঙ্গা কাজী অফিসে গিয়ে স্বামী মোবারক হোসেন কে তালাক দেয়ার জন্য একটি কুচক্রি মহলের সাথে যুক্ত হয়ে অবৈধ সম্পর্ককে বৈধ করার জন্য সোহেল ও রিনা বেগম নানা কৌশল অবলম্বন করছে । এবং পুর্বের অপরাধ মুলক কর্মকান্ডের ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।গুইমারা বাজারপাড়া সমাজের সর্দার আবুল কালাম আজাদ প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে সোহেলের পলায়নের ঘটনা জেনেও অবৈধ সম্পর্কের ব্যপারে সামাজিক ভাবে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় সমাজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে সমাজবাসী মনে করছেন।স্বামী বিদেশ থাকার সুবাদে পুর্বেও ২২ ফেব্রæয়ারী ২০১৮ তে ১০ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি ওজনের স্বর্নালংকার নিয়ে পালানোর অভিযোগ আছে রীনা বেগমের বিরুদ্ধে , উক্ত ঘটনায় স্বামীর পক্ষ চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করতে গেলে অপরাধ থেকে বাঁচার জন্য স্বামী পক্ষের লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে স্বামীর ঘরে ফিরে গিয়েও সোহেলের সাথে গোপনে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক বজায় রাখে।আবার গত ১১ মার্চ ২০২১ তারিখে মার্কেটে যাবে বলে স্বামীর গচ্ছিত টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গুইমারা বাজার পাড়া বাসিন্দা মোসলেম মিয়ার ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী সোহেলের বাড়িতে চলে আসে। গত ২৩ মার্চ ২০২১ইং সন্ধার পরে স্থানীয় জনার্ধন সেন মেম্বারের সহযোগিতায় সোহেলের বাড়িতে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর নিশ্চিত হন যে রিনা বেগম তারই কাছে রয়েছে।উল্লেখিত ঘটনায় গুইমারা থানার অফিসার ইন্চার্জ বাদির অভিযোগ গ্রহন না করে অসহযোগিতা মুলক আচরনের ব্যাপারে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আব্দুল আজিজ-কে মুঠো ফোনে ঘটনার বিস্তারিত জানালে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এই মাত্র জানতে পারলাম এই বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।কিন্তু তা আজ অব্দি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। Post navigation গুইমারায় এখনো থামছে না “জুয়া”গুইমারায় অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি