নিজস্ব প্রতিবেদক : গুইমারায় এখনো থামছে না “জুয়া” প্রতিরোধের উদ্দ্যেগ নেই । খাগড়াছডড়ি জেলার গুইমারার গ্রামে গ্রামে ‘শীলং তীর’ জুয়া আবারও জোরালো পরিসরে ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে এ ব্যাধিটি সামাজিক ক্যান্সারের মত রূপ নিয়েছে। স্কুল পড়–য়া থেকে শুরু করে প্রান্তিক কৃষকরাও এই জুয়ায় আসক্ত হয়ে লাখ লাখ টাকা হারাচ্ছে। এমনকি নারীরাও এ খেলায় মত্ত হয়ে গেছে। গুইমারা উপজেলার অন্তত ১৫ স্থানে ভয়ঙ্কর ভাবে এ জুয়ার বিস্তৃতি ঘটেছে। ইউপিডিএফ এবং স্থানীয় দুষ্টচক্র’কে ম্যানেজ করে, এই জুয়া চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়। অনেক পরিবারে দেখা দিয়েছে পারিবারিক সংকট।
পেকেজ যাত্রার নামে চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা থেকে যাত্রা গানের নত্যর্কিদের নাছিয়ে মানুষের জমায়েত করে। বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবক যুবতীরা এসে পেকেজ নাটক দেখতে গিয়ে ৬য় গুটি দিয়ে ডাব্বা জুয়া খেলে। হাতে গোণা কয়েকজন জুয়া খেলা থেকে হাসিমুখে ফিরলেও সিংহভাগই ফিরেন নি:স্ব হাতে। এ ডাব্বা পরিচালণা কারীদের সাথে গুইমারার কয়েকজন নামধারী হলুদ সাংবাদিক খেলা শুরু হওয়ার আগে জুয়া পরিচালণাকারীদের সাথে চুক্তি করে নেয়।এর সাথে জড়িত থাকেন কিছু দুষ্ট প্রকিৃতির পুলিশ, এবং জুয়া খেলার চাদাঁ দিতে হয় উপজাতি সংগঠনকে। এ ডাব্বা খেলা রাত(৯-১০)টায় শুরু হলে সকালে শেষ হয়। শীলং এজেন্টেরা পাড়া মহল্লায় গিয়ে খেলায় ১০ টাকায় ৮শত টাকা, ২০ টাকায় ১৬শত টাকা বা ৮০ গুণ লাভ পাবে বলে প্রতিশ্রæতি দেয়। এ লাভের আশায় নতুন ধরনের এই জুয়ায় রিকশা-চালক, দিনমজুর শ্রেণীর লোকরাই বেশি হুমড়ি খেয়ে পরে জুয়ার আকর্ষণ রাখতে এবং জুয়ার আসর থেকে সাধারণ মানুষ যাতে মুখ ফিরিয়ে না নেন, সেজন্য প্রতিদিন কয়েক জনকে নামে মাত্র শিলং তীরের বিজয়ী হওয়ার কৌশলে খেলা খেলে থাকে। বটতলী, যৌথখামার, আমতলীপাড়া, হাজীপাড়া, দেওয়ান পাড়া, হাতিমুড়া, রামছুবাজার ডাক্তারটিলার নিচে, নতুনপাড়া, বুধংপাড়া, বরইতলী প্রভৃতি এলাকায় এই খেলা খেলে থাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসার সময় টিফিনের টাকা শীলংয়ের বাজিতে রেখে আসছে লাভের আশায়।
কিছু সূত্রে জানা যায়, গেলো বেশ কিছু দিন ধরে গুইমারা এলাকার আনাচে কানাচে এই জুয়া খেলা চলছে। মাঝে প্রশাসনের বেশ তৎপরতায় কিছু দিন কমে ছিলো। গত দুই মাস বটতলী এলাকার নতুন এজেন্টের মাধ্যমে বেশ জোরালো পরিসরে চলছে এ জুয়াটি। খেলোয়াড়দের একটি নির্দিষ্ট সূত্রমতে, আগে শুধুমাত্র গুইমারা উপজেলাতেই শীলং এর দৈনিক খেলা হত ২-৩ লক্ষ টাকা। বর্তমানে ৬-৭ লক্ষ টাকার খেলা হচ্চে দৈনিক। সচেতন নাগরিক সমাজ মনে করেন, জুয়ার কারনে যুব সমাজসহ সকল শ্রেণির মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ,‘শীলং তীর’ জুয়া বন্ধ হওয়ার দরকার। স্থানীয় এক সমাজকর্মী অভিযোগ করেছেন, এসব জুয়াড়িদের কারণে এলাকায় অস্থিরতা বাড়ছে, উঠতি বয়সী তরুনরা বিপথগামী হচ্ছে ্এবং সামাজিক সংকট দেখা দিচ্ছে। টাকা পয়সাসহ সর্বস্ব লুটে ধীরে ধীরে নিঃস্ব করে দিচ্ছে পরিবারকে। এখনই জুয়ার র্কাযক্রম বন্ধ হওয়া উচিত। জুয়ার আড়ালে এসব এলাকায় ইয়াবা ও চোলাইমদ বিক্রি করা হয় বলে তার অভিযোগ রয়েছে।