শিরোনাম
বুধ. ডিসে ২৫, ২০২৪

গুইমারায় দৃষ্টি-নন্দিত পরী পালং খাট ,

নিজস্ব প্রতিবেদক: খাটের চার পায়ায় বড় ৪টি পরী ও চার কোনায় মাজারি ৪টি পরী এবং দুই পাশের ঝলমে চারটি করে ৮টি ছোট পরী। চার পায়ায় থাকা চার পরীর হাতে দিয়েছেন চার প্রজাপতি। পাহাড়ের পিউর সেগুন কাঠ দিয়ে কোটি টাকা দামের পরী পালং খাট বানিয়ে এমন এক অনন্য দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করছে গুইমারার মো. নুরুন্নবী।
২০১৭ সালের দিকে গুইমারা বিজিবি সেক্টরের অদুরে মো. নুরুন্নবীর বাড়িতে এই খাটের কাজ শুর করে চলতি বছরের মার্চ মাসের ১৬ তারিখ শেষ হয়েছে। দীর্ঘ তিন বছর দুই মাস একজন মিস্ত্রি ১৬ পরী বিশিষ্ট এই খাটের কারুকাজ শেষ করে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে পরী পালং খাটটি।
সম্প্রতি পরী পালং খাটের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জন খাটটি দেখতে ভীড় করছে মো. নুরুন্নবীর বাড়িতে। নানা শ্রেণি পেশার মানুষের প্রশংসায় ভাসছেন খাটটির উদ্যোক্তা মো. নুরুন্নবী ও খাটটির নির্মাতা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে কাঞ্চন মিস্ত্রী।
প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা এ খাটের কোন নকশা বা ক্যাটালগ নেই। নিজের মনের আবেগ আর ভালোবাসা মিশ্রিত নকশায় খাটটির নকশা তৈরি করেছেন ফার্নিচার মিস্ত্রী আবু বক্কর ছিদ্দিক (৩৫) ওরফে কাঞ্চন মিস্ত্রী। খাটটি তৈরি করতে মো. নুরুন্নবীর কাছ থেকে সাড়ে নয় লাখ টাকা মজুরী নিয়েছেন আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে কাঞ্চন মিস্ত্রী।দীর্ঘদিনের ঘাম, শ্রম আর ভালোবাসায় তিন বছর দুই মাস পরিশ্রমের পর খাটি তৈরীর কাজ শেষ করেন।
তিনি বলেন, পরী পালং খাট তৈরীতে প্রায় এক‘শ ফুট কাঠ লেগেছে। এখাটের নকশা তৈরি থেকে শুরু করে তিনি একাই সব কাজ করেছেন। এ খাট তৈরীতে তার কোন সহযোগী ছিলনা। তিনি বলেন, আমার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল নিজের মনের মতো করে একটি পরী পালং খাট তৈরি করার। কিন্তু স্বাধ আর সাধ্যের মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক ছিল। একসময় তার স্বপ্ন পুরণে এগিয়ে আসেন সৌখিন মানুষ মো. নুরুন্নবী। তিনি গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ও কাঠ ব্যবসায়ী।
এই খাটটি এক কোটি টাকায় বিক্রি করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ঢাকার এক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা খাটটি ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন।
ইতিমধ্যে এই খাটটি দেখতে স্থানীয়রা ছাড়াও ঢাকা থেকে কিছু সৌখিন ব্যক্তিরা তার বাড়িতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন নুরুন্নবী। পরী পালং খাটটি বার্নিস করতে চারজন শ্রমিকের সময় লেগেছে ১ মাস ১৯ দিন। খরচ গেছে লাখ টাকারও বেশি।

By admin

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!