নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগ সহ সভাপতি কংজরী চৌধুরীর মা মাসু চৌধুরী (৮৮) ৬ ডিসেম্বর রবিবার সকালে পাজেপ চেয়ারম্যানের গুইমারাস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারনে পরলোকগমন করেন।
আজ সোমবার সর্বমহলের শ্রদ্ধা,ভালোবাসা ও ধর্মীয় নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে মাসু চৌধুরীর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়। এ সময় হাজারো মানুষের ঢল নামে, স্বজন ও ভালোবাসার মানুষগুলোর আশ্রুসিক্ত বিদায়ে ও শোকের মাতম দেখা যায়।
মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র এককন্যা, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি প্যারালাইসিস ও বার্ধক্যজনিত রোগে শয্যাশায়ী ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে জেলাব্যাপী শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর মায়ের মৃত্যু সংবাদে গুইমারাস্থ চেয়ারম্যানের বাসায় ছুটে আসেন শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও স্থানীয় সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
সাবেক সাংসদ যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী। এছাড়াও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধরী সহ, জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এসময় সাংসদ কুজেন্দ্রলাল ত্রিপুরা প্রয়াত মাসু চৌধুরী’র বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মৃতের কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা পাড়া মহল্লার রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রায় শতাধিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শোকবার্তা ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর মায়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছে, পার্বত্য জেলা পরিষদ, মারমা উন্নয়ন সংসদ, গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগ, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খাগড়াছড়ি ইউনিট, গুইমারা প্রেসক্লাব সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠন।
উল্লেখ্য, প্রয়াত মাসু চৌধুরীকে শেষবারের মত দেখতে বিভিন্ন শ্রেনী পেশা ও ধর্মের হাজার হাজার মানুষ ভীড় করে। মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হন সফল জননী প্রয়াত মাসু চৌধুরী। বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি ও আনুষ্ঠানিকতা শেষে সোমবার বিকেলে গুইমারা বাজার চৌধুরী পাড়াস্থ কংজরী চৌধুরীর পারিবারিক শ্মশাণে শেষ কৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নেয় হাজারো মানুষ।