কক্সবাজারের চকরিয়ায় ছুরিকাঘাতে উম্মে হাফসা তুহি (১৮) নামে এক গৃহবধূ হত্যা ও শ্বাশুড়িকে আহত করার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আরো ২-৩তিনজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। শুক্রবার মধ্যরাতে চকরিয়া থানায় মেয়ের বাবা বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গৃহবধূ হত্যার এ ঘটনায় জড়িত ঘাতক স্বামী শওকত হাসান মেহেদীকে পালানোর আট ঘন্টা পরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার বাদী নিহত গৃহবধূর বাবা আব্দুল হামিদ চকরিয়া পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মজিদিয়া মাদ্রাসা গ্রামের বাসিন্দা এবং একুশে সংবাদ পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পার্বত্য লামা উপজেলার ইয়াংছা অংহ্লারী পাড়া এলাকা থেকে স্থানীয় লোকজন ঘাতক স্বামী মেহেদীকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভুঁইয়া বলেন, ঘটনার পর ঘাতক মেহেদী পালিয়ে গেলেও পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সোর্স মারফত তার গতিবিধি নজরে রাখেন। রাতে লামা উপজেলা থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গৃহবধূ হত্যা ও শ্বাশুড়িকে আহত করার ঘটনায় থানায় ৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা।
মামলার প্রধান আসামি মেহেদীকে ঘটনার দিন রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।
থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের আজমুল্লাহ পাড়ার আবুল হাশেমের ছেলে শওকত হাসান মেহেদী (২২), তাঁর মা মমতাজ (৪২), মেহেদীর বাবা আবুল হাশেম, বোন সুমাইয়া আক্তার (২০) এবং একই এলাকার আব্দুল হাকিম (৫৫)।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ায় শ্বশুর বাড়িতে এসে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন ও শাশুড়িকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায় মেহেদী। পরে স্ত্রী উম্মে হাফসা তুহি মারা গেলেও শাশুড়ি পারভীন আক্তার গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে নিহত গৃহবধূ উম্মে হাফসা তুহির ময়নাতদন্তের পরে তাঁর গ্রামের বাড়িতে জানাযা নামাজ শেষে দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়েছে। গৃহবধূ তুহির মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।