নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলায় চলছে দেদারসে পাহাড় কাটার মহোৎসব। রাতের অন্ধকারে পাহাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে একটি চক্র। আর এসব মাটি ইট ভাটার ইট তৈরী, আবাস্থল গড়ে তোলা, গভির খাদ ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। গত এক বছরে গুইমারা উপজেলায় অর্ধশতাধিক পাহাড় কাটা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধাসরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। আইনের তোয়াক্কা না করেই পাহাড়খেকো চক্র পাহাড় কাটছে। এমন অভিযোগ, সাধারণ মানুষের।
সাম্প্রতিককালে গুইমারাতে পাহাড় কাটার প্রবনতা বাড়ছে। অতিসম্প্রতি, গুইমারা থানা সংলগ্ন এলাকা, মুসলিমপাড়া, বড়পিলাক, জালিয়াপাড়া ও বাইল্যাছড়ি বিভিন্ন এলাকার পাহাড় কাটা হচ্ছে দেদারসে। আর পাহাড়ের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি গাড়ি ১ হাজার ৫শত টাকা থেকে ২ হাজার টাকায়। শুধু পাহাড় কাটায় খান্ত নয় এই চক্র পাহাড় কাটার সাথে বিভিন্ন প্রজাতির ছোটবড় গাছ নিধন করা হচ্ছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের।
পাহাড় কাটা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না। প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে। সাধারণ জনগনের অভিযোগ, পাহাড় কাটার তথ্য প্রশাসনকে দিলেও অদৃশ্য কারনে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়না।
গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ এনামুল হক চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। পরিবেশবাদী কর্মীদের সহযোগিতাও পাহাড় কাটা সংক্রান্ত বিষয়ে জনসচেতনা বৃদ্ধির মাধ্যমে পাহাড় কাটা বন্ধ করা সম্ভব।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইরিন আক্তার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পাহাড় কাটার বিষয়ে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন যায়গায় জেল জরিমানা করা হয়েছে।