হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে
নুরুল আলম:: বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ বলেছেন,হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। প্রতিটি ধর্মের শান্তির বাণী আছে। তাই চর্চার মাধ্যমে সকলকে শান্তির জন্য কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি পৌর টাউনহল মিলনায়তনে জেলা পুলিশের আয়োজিত সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে তিনি আরো বলেন,অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসলে পার্বত্যাঞ্চল তথা পাহাড়ে শান্তি অনিবার্য বলেও মত দেন তিনি।
একই সময় প্রধান পাহাড়ে সব ধরনের সহায়তায় পুলিশ জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং দুষ্কৃতিকারী যেই কোন তাদের আইনের আওতায় এতে শাস্তিরও হুশিয়ারী দিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রাখার আহ্বান জানান বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আহসান হাবীব পলাশ।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো: আরেফিন জুয়েল এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিজ্জামান।
সম্প্রীতি সমাবেশের শুরুতে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ আপনাদের ভাই। আমরা সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। জুলাই-আগস্টের ঘটনায় শান্তি বজায় রাখায় খাগড়াছড়ি জেলাবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
বক্তব্যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিস্থিতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি (শান্তি চুক্তি) র কথা তুলে ধরে শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ বিভাগসহ জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিভাজন রোধে কাজ করতে স্থানীয় ভাবে সম্প্রীতির লক্ষ্যে স্থানীয় ভাবে উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানান রবি শংকর তালুকদার।
অবৈধ অস্ত্র বৃদ্ধিসহ অস্ত্রের ঝনঝনানিতে পাহাড়ে শান্তি ফিরছেনা এবং বেপরোয়া চাঁদাবাজি পাহাড়কে অশান্ত করে তুলেছে বলে দাবি জানান আসাদ উল্লাহ আসাদ।
পার্বত্য চুক্তির মধ্য দিযে বাঙালিদের সাথে বৈষম্য করা হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের একই আইনের মাধ্যম চলতে হবে এবং জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাচনসহ কালো চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। সম্প্রীতি সমাবেশে পুলিশ প্রশাসনসহ সকল প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান একাধিক বক্তা।
এতে সকল সম্প্রদায়ের বক্তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন,ধর্মেয় চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সম্প্রীতি বিনষ্টের মুল কারন চাঁদাবাজি বলেও মন্তব্য করে এক বক্তারা। এছাড়া সম্প্রীতি সমাবেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা,বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ অংশ নেন।
সম্প্রীতি সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন-জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশ এর খাগড়াছড়ি জেলা আমির সৈয়দ আব্দুল মোমেন,খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন,
চাকমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রবি শংকর তালুকদার,ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা,মারমা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রুবেল মারমা, খাগড়াছড়ি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মো: ইউনুস,শানে সাহাবা জাতীয় খতীব ফাউন্ডেশনের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মুফতি ইমাম উদ্দিন কাশেমী।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন,পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অশোক মজুমদার,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আল-আমিন,জাহিদ হাসান,আহলে সুন্নাত আল-জামায়াত প্রতিনিধি মুফতি
পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব পরিষদের প্রতিনিধি আসাদ উল্লাহ আসাদ,নাগরিক নিরাপত্তা কমিটির প্রতিনিধি নুরুল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি মাওলানা কাউসার আজেমী,হেফাজত ইসলামী বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি মো: নোমান,সাংবাদিক প্রতিনিধি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য,শিক্ষক প্রতিনিধি মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকেই এতে বক্তব্য রাখেন।