নুরুল আলম:: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখার লক্ষ্যে গুইমারা রিজিয়নের অন্তর্গত সিন্দুকছড়ি জোন নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ধরনের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচী পরিচালনা করে আসছে। জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে খাগড়াছড়ি জেলা তথা দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে এই জোন।
এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ২৭তম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সিন্দুকছড়ি জোন কর্তৃক জোনের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে সিন্দুকছড়ি জোনের আওতাধীন শহীদ লেঃ মুশফিক বিদ্যালয় মাঠে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বসবাসের নিমিত্তে ঘর নিমার্ণ এবং মাদ্রাসার শ্রেণীকক্ষ নির্মানের জন্য ঢেউটিন, বিভিন্ন ক্লাবের মাঝে খেলাধূলা সামগ্রী, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ, আসন্ন শীত মৌসুমে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের বসবাস যেন কষ্ট না হয় তার জন্য কম্বল, এবং গরীব পরিবার এবং স্কুল ও কলেজ উন্নয়নের জন্য নগদ অর্থ প্রদানসহ সর্বমোট ৪৫০ জন সুবিধাভোগীর মাঝে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, ৫২৬ জন জনসাধারণের মাঝে চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করেন সিন্দুকছড়ি জোনের মেডিক্যাল অফিসার ক্যাপ্টেন নাহিয়ান কবির, ক্যাপ্টেন আরিফুল ইমরান, ডা. মোঃ মাজহারুল ইসলাম ও ডা. এনাতুল্লাহ মাহফুজ। উক্ত মানবিক কর্মকান্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, এসপিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, এমফিল, কমান্ডার ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড ও রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা রিজিয়ন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিন্দুকছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা, পিএসসি, জি, রিজিয়ন ও জোনের অন্যান্য অফিসার্সবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। এ সময় রিজিয়ন কমান্ডার উপস্থিত সকলকে সম্প্রীতি বজায় রেখে একত্রে মিলেমিশে বসবাসের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়াও, তিনি এলাকার শান্তি, শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের জনসেবামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।