নুরুল আলম:: পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে হলে অবশ্যই পার্বত্য শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন ছাড়া বিকল্প কোনো পথ নেই। পার্বত্য শান্তি চুক্তি জেএসএস’র সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের চুক্তি হয়নি। চুক্তি হয়েছে সরকারের সাথে। তাই যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক সেই সরকারকে এই শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ও জেএসএস’র শীর্ষ নেতা উষাতন তালুকদার এমন মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ই এই দিনে পাহাড়ের অশান্ত পরিস্থিতি দূর করতেই শান্তিচুক্তি হয়েছিল। কিন্তু চুক্তির দীর্ঘ ২৭ বছর পার হয়ে গেলেও এখনো চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হয়নি। এতে করে এখানকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিনিয়ত ভাতৃঘাতিক সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। অশান্তি অভয়ারন্তে পরিণত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম।
তিনি ইউপিডিএফকে উদ্দেশ্য করে বলেন, চুক্তি বিরোধী একটি পক্ষ আমাদের জুম্ম জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে রাখতে চাইছে। আমাদের কর্মীদেরকে আজকের সমাবেশে না আসার জন্য বিভিন্ন জায়গায় হুমকি-ধামকি দিয়েছে। বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচর থেকে অনেক কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে পারেনি। এটি খুবই দুঃখজনক। জেলা পরিষদ পুর্ণগঠন নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার পার্বত্য চুক্তির তোয়াক্কা না করে জেলা পরিষদ গঠন করেছে। পার্বত্য চুক্তি হচ্ছে আমাদের অধিকার। আমাদের এখানকার জনগণ নির্ধারণ করবে জেলা পরিষদের কারা প্রতিনিধি হবে না হবে। কিন্তু ওনারাই যদি প্রতিনিধি নির্ধারণ করে তা দূর্ভাগ্যজনক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে ভুমি সমস্যা বেড়েই চলেছে। চুক্তি মোতাবেক গঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর না হওয়ায় পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। তাই দ্রুত শান্তিচুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে অন্তবর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানান জেএসএস’র শীর্ষ এই নেতা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সহ-সাধারণ সম্পাদক উ উইন মং জলির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, জনসংহতি সমিতির বিষয়ক সম্পাদক মহা ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল চাকমা, মহিলা সমিতির নেত্রী আশিকা চাকমা, জনসংহতি সমিতির নেতা অরূণ ত্রিপুরাসহ অন্যান্য নেতারা।