নুরুল আলম:: পার্বত্য চুক্তি নিয়ে খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লারমা গ্রুপ পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচি পালন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি মুহা: লোকমান হোসাইন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে সংবিধান বিরোধী ও বৈষম্যমূলক দাবি করে চুক্তির পূন: মূল্যায়ন, পাহাড়ে শান্তি স্থাপনে ব্যর্থতার অভিযোগে আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমাকে অপসারণ, পাহাড়ের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রত্যাহারকৃত নিরাপত্তা বাহিনীর সকল ক্যাম্প পূন: স্থাপনের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডালিম,খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ-সভাপতি মো: নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা,কেন্দ্রীয় যুব পরিষদের সভাপতি আসাদ উল্লাহ ও ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মো: সুমন মিয়া প্রমুখ।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ২৩৮টি নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোকে ৩০ বিভাগ হস্তান্তর করা হয়েছে পক্ষান্তরে চুক্তির পর পাহাড়ে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের জন্ম হয়েছে। চলছে অস্ত্রের মহড়া। বছরের পাহাড়ে ৫শত কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি হচ্ছে।
অপর পার্বত্য চুক্তির ২৭ বছর বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সকালে খাগড়াছড়ি শহরের মারমা উন্নয়ন সংসদের গণসমাবেশের আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লারমা গ্রুপ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা ও ইউপিডিএফ গণতন্ত্রিকের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মিটন চাকমা।
সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তোলার আহবান। বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ টানা সাড়ে ১৫ বছর ২০ বছরের অধিক ক্ষমতায় থাকলেও চুক্তি বাস্তবায়ন না করে উলটো চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে।