৫ হাজার টাকায় চলে মাস!
নিজস্ব প্রতিবেদক, মহালছড়ি:: পাঁচজনের একটি পরিবার। এক মেয়ে, দুই ভাই ও মাসহ তিন জনই প্রতিবন্ধী। ৫হাজার টাকার মাসিক আয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে পরিবারটির। তাদের কাছে রোগের চিকিৎসা এখন স্বপ্ন বিলাসের মতো।
খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাজার এলাকায় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দপ্তরি মোঃ মফিজুল আলমের ৫ সদস্যের পরিবার। মাসহ দুই ভাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। সামান্য ভিটে-বাড়িটুকু সম্বল তার। মফিজের নিজে সামান্য বেতনে মহালছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কাজ করেন। তার মাসিক ৫হাজার টাকা সম্বল করে মাসহ ৬ জনের পরিবারের খেয়ে না খেয়ে দিন চলে।
মফিজের মা জানান, তার মেঝে ও ছোট ছেলে জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী। লিকলিকে পা জোড়া নিয়ে ভীষণ কষ্টে হাঁটাচলা করে তারা। পিঠ বাঁকা ও কুঁজো। শারীরিক প্রতিবন্ধিকতার কারণে পড়াশোনা ঠিকভাবে করতে পারে নাই।
তাদের বড় ভাই মফিজ জানান, খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আংশিক চিকিৎসা হয়েছে ভাইদের। তাদের বাড়ি থেকে খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার। সেখানে যাওয়া-আসার পথ খরচও তারা জোটাতে পারে না। ফলে পূর্ণ সুস্থতা মিলছে না তার ভাইদের।
মফিজ আরো জানান, তার মাও প্রতিবন্ধীর কাতারে। দুই ছেলের সেবা যত্ন করতে করতে তার দুই পায়েই সমস্যা দেখা দিয়েছে। চলাফেরা করতে হয় খুব কষ্টে।
মফিজ ও সদ্য বিবাহিত স্ত্রী নিয়ে ৫ জনের পরিবার। তাদের এখন দিন চলে মফিজের মাসিক ৫০০০ টাকা ইস্কুলের অস্থায়ী দপ্তরী চাকুরী করে। পরিবারটির ২ শারীরিক প্রতিবন্ধী সদস্যের সরকারি প্রতিবন্ধী ভাতা পান।
সব মিলিয়ে হতদরিদ্র এ প্রতিবন্ধী পরিবারটি নিদারুণ দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। প্রতিবন্ধীর ভাতার পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ব্যবস্থা হলেও কিছুটা স্বস্তি মিলতো পরিবারটির।
এ ব্যাপারে মহালছড়ি উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর করবেন এবং তাদের দুরবস্থা নিরসনে কাজ করবেন।