নুরুল আলম:: কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে গেছে রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকাল থেকে ঝুলন্ত সেতু দিয়ে পারাপারে সাময়িক সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
এবারের বন্যায় জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় দশ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। তবে পানি আজ থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।
বন্যায় দুর্গতদের মাঝে সেনাবাহিনী এবং বিএনপির নেতৃবৃন্দ খাবার প্রদান করছে। এই উপজেলার পর্যটন নগরী সাজেকের সাথে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল হয়েছে। তবে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়কে এখনো পানি থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকলেও বিকেলের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে অনেক পর্যটক নৌকাযোগে পার হয়ে সাজেক ছেড়ে গেছেন।
বন্যায় লংগদু উপজেলার নিম্ন এলাকার বাসিন্দারা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নেমে গেলেও দীঘিনালার মেরুং সড়কে পানি থাকায় খাগড়াছড়ির সাথে যোগাযোগ এখনো বিছিন্ন রয়েছে। গতকাল বিকেলে নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট ইউনিয়নের কুকুরমারা এলাকায় চেঙ্গী নদীতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
কাপ্তাই হ্রদে আজ পানি রয়েছে ১০৫ দশমিক ৮৪ মীনস সি লেভেল। হ্রদে পানি থাকায় কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। বর্তমানে ২১৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।