নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামীলীগ শাসন আমলে জায়গা জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবৈধ ভাবে জোরপূর্বক দখল, মিথ্যা মামলা, দেশের অর্থ লোপাটকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা, রামগড়, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা সাবেক আওয়ামীলীগ সরকারের কিছু সন্ত্রাসী চাঁদাবাজী চক্র অসহায় প্রজা, ব্যবসায়ী, সাধারণ জনগণকে মামলা-হামলা, জায়গা দখলসহ বিভিন্ন নির্যাতন করেছিল। তখন তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই বিভিন্ন হুমকির সম্মুখিন হতে হতো। এসকল চাঁদাবাজদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় জনসাধারণ ও সচেতন মহল।
মানিকছড়ির এক ভুক্তভোগি বলেন, অবৈধ সরকারের প্রভাবখাটিয়ে ২০ থেকে ২৫ আওয়ামী সন্ত্রাসী দল ৪নং তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এর নিদের্শনায় আমাদের জায়গা র্দীঘদিন যাবৎ জবর দখল করার চেষ্টা করছিলো। দখল করতে আসলে বার বার বাঁধা দিলে অমার পরিবারের উপর ধারালো অস্ত্র্র ও লাঠিসোটা নিয়ে নৃসংশ হামলা করে। এতে অনেকেই গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব জীবনযাপন করছে। এসব সন্ত্রাসীদের ক্ষমতার দাপটে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় ভুক্তভোগি পরিবার।
স্থানীয়রা আরো জানায়, ১৯৬২-৬৩ সালে প্রায় শতাধিক পরিবার পূর্ণবাসন করা হয়। তখন তাদের চলাচলের জন্য রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই চলাচল রাস্তাও ৪নং তিনটহরী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের দাপটে বন্ধ করে দেয়।
গুইমারার আরেক ভুক্তভোগি জানায়, জালিয়াপাড়া এলাকায় সড়কের পাশেই আমাদের রেকর্ডীয় জায়গা ক্ষমতার দাপটে দখল করে বসবাস করে আসছে। বাঁধা দিতে গেলে মামলা হামলাসহ প্রাণন্যাসের হুমকি দিয়ে আসছিল। বর্তমানেও তারা আমাদের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে বসবাস করছে। এসব দখলদারদের উচ্ছেদ করে বিচারের আওতায় আনা অতি জরুরী।
অপরদিকে গুইমারার এক উপজাতীর রের্কডীয় জায়গা জোরপূর্বক দখল করে দোকান প্লট ও ঘরবাড়ি নির্মাণ করে র্দীঘদিন যাবৎ ভোগ করে আসছিলো আওয়ামীলীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতা। এসব অবৈধ দখলদার ও দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায় ভুক্তভোগি।