নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রাখা ৩দশকের কতিপয় ব্যক্তিদের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে নানা বৈষম্যের শিকার পাহাড়ের সাংবাদিকতায় আসলো আমূল পরিবর্তন। বৈষম্যহীন সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের গঠন করা হলো নতুন কমিটি। জেলা-উপজেলায় কর্মরত প্রায় অর্ধশতাধিক সাংবাদিকতা পেশায় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে কমিটি গঠন উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায়।
৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে প্রেসক্লাবের হল রুমে ২৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির মধ্যে ১১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি হিসেবে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন মজুমদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দিদারুল আলম রাজুকে মনোনীত করা হয়।
এ ছাড়াও জেলার অপরাপর ৮ উপজেলার পেশাজীবি গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে এবং মতামতের ভিত্তিতে গঠিত ১১ সদস্যের আংশিক কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহ-সভাপতি জহুরুল আলম, যুগ্ন-সম্পাদক সমীর মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ রিপন সরকার, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ সাজু, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রউফ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাফর সবুজ এবং আবাসন ও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক চাইথোয়াই মারমা।
শীঘ্রই জরুরী সভার মাধ্যমে গঠিত হবে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। দুই বছর মেয়াদী এই কমিটিতে জেলার সকল উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি-সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা স্থান পাবেন। কমিটি ঘোষণার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নতুন কমিটির সভাপতি তরুণ কুমার ভট্টচার্য্য বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবকে কুক্ষিগত করে রেখেছে কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট। যেখানে এক যুগেরও বেশি সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত এবং সকল যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিজেরা ফায়দা লুটতে তরুণ ও মেধাবী গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো রকম সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর বিপরীতে সরকারি বেতনভুক্ত শিক্ষকসহ দীর্ঘ বছর ধরে খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থান করেন না এমন অপেশাদার ও রাজনৈতিক পদ-পদবী ধারীদের দিয়ে প্রেসক্লাব দখল করে রেখেছিল চক্রটি।
নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন মজুমদার বলেন, চাটুকারদের প্রাচীর ভেঙ্গে নতুন কমিটির মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে সুন্দর ধারার এবং বৈষম্যহীন সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। জেলার সকল উপজেলার পেশাজীবি গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নিয়ে এই দুর্বৃত্তায়ন দূর করা হবে। আজ থেকে খাগড়াছড়ির সাংবাদিকতা হবে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত, বস্তুনিষ্ঠ ও স্বাধীন।