নুরুল আলম:: বান্দরবানের পুলিশ সদস্যদের সাথে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমীকে মারধর করে পুলিশ সদস্যরা।
গতকাল (মঙ্গলবার) পৌর শহরের বান্দরবান-বালাঘাটা সড়কে পুলিশ লাইন্সে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এ বিষয়ে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কোনো পুলিশ কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।
এক ভিডিও বার্তা দেখা যায়, বান্দরবানের বালাঘাটা পুলিশ লাইন্সে কর্মরত পুলিশ সদস্যরা ডিউটি পালনে অনীহা প্রকাশ করে। জোরপূর্বক ভাবে পুলিশ সদস্যদের ডিউটি করতে চাপ প্রয়োগ করলে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন রায়হান কাজেমী প্রতি ক্ষেপে যান অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা। কথা-কাটাকাটি এক পর্যায়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিকে তেড়ে যান সদস্যরা। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমীকে মারধর শুরু করলে তিনি পালিয়ে গিয়ে পুলিশ লাইন্সের অস্ত্রাগারে আশ্রয় নেন।
জানা গেছে, সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের থানা পুড়িয়ে দেয়া ও হতাহতের ঘটনায় বান্দরবানে পুলিশ সদস্যরা কর্মবিরতি ঘোষণা দেন। আতঙ্ক ও প্রাণ রক্ষার্থে জেলা জুড়ে কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বায়িত্ব পালন করেনি। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী দেশ ত্যাগের ঘটনাটি পর থেকে লাপাত্তা জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহিনও। পুলিশ লাইনে সড়কে উৎসুক জনতাদের ভিড় দেখে আরো আতঙ্ক ছড়িয়ে জেলা পুলিশ জুড়ে।
পুলিশ সদস্যরা জানিয়েছেন, সারাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বহু পুলিশ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। আর অনেক ঊর্ধ্বতন অফিসার পালিয়ে গেছেন। বর্তমান সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কোনো পুলিশ সদস্য ডিউটি করতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ডিউটি পালন করতে বেশি চাপ দিলে কনস্টেবলরা এক প্রকার বিদ্রোহ ঘোষণা করে। অনেদিকে পুলিশ লাইন্সের বাইরে কয়েকশ বিক্ষুব্ধ জনতার দেখে আতঙ্কিত হয়ে যান লাইন্সে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক ডিএসবি এক সদস্য জানান, জেলায় ডিউটি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী সাথে অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরে মারধরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অস্ত্রাগারে আশ্রয় নেন।