নুরুল আলম:: মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অফিস সহকারী মো:দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন হাসপাতালের বিভিন্ন অফিস স্টাফরা।
জানা যায়, মানিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত অফিস সহকারী মোঃ দেলোয়ার হোসেন হাসপাতালের যোগদানের পর থেকে দূর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ, অনৈতিক আচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসছে। এ ব্যপারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন প্রতিকার হয়নি।
অফিসের স্টাফরা অভিযোগ করে বলেন, অফিস সহকারী দেলোয়ারের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য সহকারীদের কোভিড-১৯ এর বিল থেকে টাকা আত্মসাৎ, কোভিড-১৯ এর অনলাইন ডাটা এন্টির টাকা আত্মসাৎ, কোভিড-১৯ এর টিকা কেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবকদের টাকা আত্মসাৎ, কোভিড-১৯ এর রেড ক্রিসেন্ট কর্মীদের টাকা আত্মসাৎ, কোভিড-১৯ এর স্কুল ভিত্তিক টিকা কেন্দ্রের প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষকদের ডাটা এন্ট্রির টাকা আত্মসাৎ, স্বাস্থ্য সহকারীদের দুর্গম টিকা কেন্দ্রের দুর্গম ভাতা আত্মসাৎ, ফ্রি মোবাইল মেডিকেল ক্যাম্প এর টাকা আত্মসাৎ, স্বাস্থ্য সহকারীদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন এর টাকা আত্মসাৎ, জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সাপ্তাহের টাকা আত্মসাৎ, নার্সিং কর্মকর্তাদের বেতন বিল মিসিং ফরোয়ার্ড দিয়ে পরবর্তীতে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে ঠিক করে দেওয়া, নার্সিং কর্মকর্তাদের সিলেকশন গ্রেড প্রাপ্তিতে বকেয়া বিল করার জন্য অর্থ হাতিয়ে নিয়ে বিল করে দেওয়াসহ অফিসের যেকোন কাজের জন্য যেমন-ট্রেনিং, প্রতি মাসের বেতন বিল, জিপিএফ, শান্তি বিনোদন ভাতা ইত্যাদি কাজে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য যে, তিনি ইতিপূর্বে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে শাস্তি পেয়ে বদলি হয়ে মানিকছড়িতে আসে। এখানে এসেও তার অনিয়ন দূর্নীতিতে অতিষ্ঠ অফিস স্টাফরা। এর একটি সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন সাথে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।