ফলোআপ—
নুরুল আলম:: বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণে অনিয়মের বিরুদ্ধে “কোটি টাকার ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সেলিম এন্ড ব্রাদার্স এর স্বত্বাধিকারী লাইসেন্স রাঙ্গামাটি ঠিকাদার আরাফাত হোসেন ওরফে আকাশ তরিঘরি করে কাজ করছেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শিডিউল অনুযায়ী কাজ না করে তার পরিবর্তে ঝিরি বালু, নিম্নমানের ইটসহ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানের সেসব নিম্ন সামগ্রী দিয়ে গড়ে উঠেছে তিনতলা ভবন। বারবার কাজের মান ঠিক রেখে কাজ করার জন্য এলাকাবাসী অনুরোধ করেও মেলেনি কোন সুরাহা। বরঞ্চ রাত গভীরে সেসব নিম্ন সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ চলমান রেখেছে ঠিকাদার। তাছাড়া রোয়াংছড়ি ঝিরি বালু দিয়ে দুতলা ভবনের ছাদ ঢালাই দেয়ার পর ধসে পড়ে গেছে বলে অভিযোগও করেন স্থানীয়রা।
এদিকে ঝিড়ির বালু, ইটসহ নিম্ন সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে বক্তব্যে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী অস্বীকার করে বলেছেন, ঝিড়ির বালু ফ্লোরে ভরাটের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। বীম, ছাদ ও ব্যাস ঢালাইয়ে কাজে ব্যবহার করা হয়নি। ফ্লোরের ভরাটের জন্য সেই ঝিড়ি বালু ব্যবহার করা হয়েছে বলে একই কথা বলেছেন সহকারী প্রকৌশলী ও ঠিকাদার। কিন্তু দেখা মিলেছে অন্য রকম চিত্র। পূর্বে কথানুযায়ী ৮শত ফুট বালু ফ্লোরে দেওয়া হয়ে গেছে বলেছিলেন ঠিকাদার। কিন্তু সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পরে তড়িঘড়ি করে নতুনভাবে স্থানীয় সেই ঝিড়ি বালু পুনরায় উত্তোলন করে সকালে নতুন করে ফ্লোরে ভরাটে কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে ঠিকাদার আরাফাত হোসেন আকাশ বলেন, ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। সকল কাজই সঠিক ভাবে এবং নিয়মানুসারে করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২০- ২১ অর্থ বছরে রোয়াংছড়ির সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি পেয়েছেন সেলিম এন্ড ব্রাদার্স স্বত্বাধিকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। যার প্রকল্পের বরাদ্দের ব্যয় ধরা হয়েছে ২কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।