নুরুল আলম:: রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপের সাথে ইউনাইটেড পিপপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট প্রসীত গ্রুপের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুক যুদ্ধ চলছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল থেকে উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের দুলোবনিয়া এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো সেখানে থেমে থেমে গোলাগুলি চলমান রয়েছে।
এর আগে একই এলাকায় সোমবার বিকেলে একই ইউনিয়নের সুকেতন মাঠে গোলাগুলি শুরু হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার বজায় রাখতে বন্ধুক যুদ্ধে লিপ্ত হয় তারা। তবে হতাহতের খবর নিশ্চিত করতে পারিনি এলাকাবাসী। দুই সশস্ত্র দল আনুমানিক ১ হাজার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেছে বলে নিশ্চিত করে স্থানীয়রা। এসময় স্থানীয়দের ঘরের আসবাপত্রে সশস্ত্র দলের গুলি লেগেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গোলাগুলির ঘটনায় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হতাহতের খবর ও ছবি ছড়িয়ে পরলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেও হতাহতের সুনির্দিষ্ট খবর দিতে পারেনি।
বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ইশতিয়াক আহম্মেদ বলেন, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ ঘটনার দিকেই নজর রাখছে।
এদিকে আগামী ২৯ মে বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল দুপুরে প্রতীক বরাদ্দের পর পুরোদমে প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। এবার ভোটের মাঠে বড় দুই রাজনৈতিক দলের কোনো প্রার্থী না থাকলেও পাহাড়ে বিবদমান আঞ্চলিক দুই সংগঠনের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ সকল প্রস্তুতি নেয়া হলেও গোলাগুলির ঘটনায় সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সন্ত্রাসীরা ৮ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী গুলিতে হত্যা করেছিলো। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরও ৩৩ জন। ওই ঘটনার পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি এখনো।