আনোয়ার হোসেন: সারা বাংলাদেশের ন্যায় পার্বত্যাঞ্চলের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। শুভ নববর্ষের এই দিনে পাহাড় সাঁজে এক অনন্য দৃষ্টিতে। চারিদিকে উৎসব আমেজের মেলা। ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় গুইমারা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বের করা হয় বর্ণাঢ্য র্যালী। বাঙালী, চাকমা, মারমা আর ত্রিপুরাদের মিলন মেলায় পরিণত হয় গুইমারা উপজেলা।
চাকমাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই আর চাকমাদের বিজু। এই তিনের আদ্যাক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’। বৈসাবি মানেই পাহাড়ে প্রাণের উৎসব আর সম্প্রীতির মেলবন্ধন। বন আর পাহাড় ঘেরা ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবির উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়েছে পাহাড়ে সবখানে। বর্ণাঢ্য সাজ আর বর্ণিল পোশাকে শোভাযাত্রায় শামিল হন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নানা বয়সী মানুষ। উৎসব জুড়ে ছিল চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরাসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক। দিনটি উপলক্ষে সারাদিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
রবিবার ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে সকাল ১০টায় গুইমারা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরীর নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র্যালী গুইমারার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিন করে। বৈসাবি উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন, গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের অফিসার, ব্যাংক-বীমা, এনজিও অফিসার, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও উপজেলা আ’লীগসহ, সামাজিক সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।