শিরোনাম
বুধ. ডিসে ২৫, ২০২৪

সাংগ্রাইং উৎসবে মাতোয়ারা পাহাড়

নুরুল আলম: মারমা সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠান মাহা সাংগ্রাইং উৎসবে মেতে উঠছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। নানা আনুষ্ঠানিকতায় খাগড়াছড়িতে রি-আকাজা (জলকেলি) মধ্য দিয়ে মারমা সম্প্রদায়ের এই ঐতিহ্যবাহী এ উৎসব উদযাপনে মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সবুজ পাহাড়

মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে রবিবার (১৪ এপ্রিল ২০২৪) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পানখাইয়াপাড়া বটতলায় মারমা উন্নয়ন সংসদ এর আয়োজনে মাহা সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

উৎসবে পুরাতন বছরের সব দুঃখ, কষ্ট,গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন বছরকে বরণের প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করে পার্বত্য মন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্ত্রিক প্রচেস্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এক উন্নয়নে প্রধান সড়কে।

শান্তি-সম্প্রীতি,উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন তিনি বলেন, ধর্ম যার যার,উৎস সবার এ উক্তিকে ধারন করে সকল জাতি ধর্মের মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠায় এক হয়ে মিলেমিলে থাকতে হবে সকলকে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে আরো এগিয়ে নিতে পারলে উন্নয়নের ধারা তরান্বিত হবে। সে সাথে স্বপ্ন যাত্রায় পাহাড়বাসীর কাঙ্খিত সুফল আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন পার্বত্যমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।

মারমা উন্নয়ন সংসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মংপ্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা চিংলামং চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে খাগড়াছড়ি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মোঃ আমান হাসান,খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান,জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার),খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী,পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী,খাগড়াছড়ি জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আবুল হাসাত, শরনার্থী বিষয়ক ট্রাস্কফোর্স এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম,খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া,ক্যজরী মারমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা,মারমা উন্নয়ন সংসদের নেতৃবৃন্দরা এতে অংশ নেন।

খাগড়াছড়িতে সাংগ্রাইং উদযাপন উপলক্ষে ভোরে প্রভাত ফেরীর মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়। পরে পাড়ার বিহারে ফুল পুজা শেষে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা,মারমার সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী নানা রঙের বর্ণিল পোশাকে বিভিন্ন নৃত্য, ওপেন কনসার্ট ও সাংগ্রাইয়ের অন্যতম আকর্ষণ ঐতিহ্যবাহী জলকেলি (পানি খেলা) উৎসবে তরুণ-তরুণীরা দলবদ্ধ ভাগে বিভক্ত হয়ে উচ্ছাসে মেতে উঠে। বর্ণিল উৎসবে নেচে-গেয়ে মাতিয়ে রাখেন সকল বয়সিরা। সাংগ্রাই উৎসব দেখতে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় অসংখ্য পর্যটকের আগমন ঘটে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!