নুরুল আলম:: খাগড়াছড়িতে গত এক বছরে সড়ক আইন ২০১৮ বাস্তবায়নে তিন হাজার মামলা হয়েছে। এ সময় ৯০ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। “সড়ক পরিবহণ আইন মেনে চলুন, নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন” প্রতিপাদ্যে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর, কোর্ট চত্বর, চেঙ্গী স্কয়ার, জিরো মাইল পয়েন্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
এ সময় জেলা শহর ছাড়াও বিভিন্ন থানা এলাকায় রেজি: বিহীন, হেমলেট বিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্স বিহীন, ফিটনেস বিহীন, হাইড্রোলিক হর্নসহ বিভিন্ন অপরাধে ট্র্যাফিক বিভাগ তিন হাজার দশ টি মামলা দায়ের করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা ট্র্যাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দেব জানান, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর নির্দেশে ট্র্যাফিক পুলিশ সড়কের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করে চলেছে।
তিনি জানান, খাগড়াছড়ি জেলা পর্যটন নগরী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিপুল পরিমাণেল বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করে থাকে। এছাড়াও বনজ শিল্প উন্নয়নে বাঁশ, কাঠ পরিবহণ হয়।পুরোনো পৌর বাস টার্মিনাল আয়তনে খুবই ছোট হওয়ায় এত বিপুল পরিমাণের গাড়ির সংকুলান না হওয়ায় চালকগণ সড়কের পাশে রাখতে বাধ্য হন। শুধু মাত্র আইন প্রয়োগ করে এম পার্কিং সমস্যা সমাধান হবেনা বলে পুলিশ পরিদর্শক জানান। এর জন্য শহরের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্টেকহোল্ডারদের সহায়তা ছাড়া টার্মিনাল বিকেন্দ্রীকরণ কিংবা সম্প্রসারণ ব্যতীত পার্কিং সমস্যা সমাধান হবেনা। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি জন্য শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের রাস্তা ব্যবহার এবং ট্র্যাফিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা ও পেশাজীবী চালক ও হেল্পারদের নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মশালা এবং ভ্রাম্যমাণ চালকদের সড়ক পরিবহনে সতর্কীকরণ বিষয়ে লিফলেট ও ফেস্টুন বিতরণ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) বলেন, জেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় অনেক শিক্ষিত ছেলে বেকারত্ব দূরীকরণে টমটম , ট্রাক্টর সহ বিভিন্ন যানবাহন চালিয়ে সংসার নির্বাহ করেন। জেলার ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করতে হলে সকল নাগরিক ও স্টেকহোল্ডারদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সুবিধা বঞ্চিত, পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠী তাদের ভাগ্য উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরাতে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি জনসচেনতাই অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন।