নিজস্ব প্রতিবেদক:: ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ওয়াকিল উদ্দিন বলেছেন, মানুষ খালি মুখের কথায় বিশ্বাস করে না, চায় দৃশ্যমান উন্নয়ন। আওয়ামী লীগ কাজে প্রমাণ করে।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নিজ নির্বাচনী এলাকা ডিএনসিসির ৪১ নাম্বার ওয়ার্ডের সাতারকুল ও বেরাইদে প্রচারণা ও গণসংযোগকালে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
ওয়াকিল উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রতিটা ওয়ার্ডে গণসংযোগ করছি। সাধারণ মানুষের প্রচণ্ড সাড়া পাচ্ছি। শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশে যে সব উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছেন, ভোটারদের মধ্যে তার প্রতিফলন দৃশ্যমান। নৌকার প্রচারণায় স্বতস্ফূর্তভাবে মানুষ অংশগ্রহণ করছে। আমি আশাকরি আগামী ৭ জানুয়ারি ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি ঘটবে এবং মানুষ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে কেন্দ্রে ভোট দিতে আসবে।’
এদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই জনবহুল এলাকায় প্রচারণা চালান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা।
এসময় তার সঙ্গে প্রচারণায় অংশ নেন- স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডা. আবদুল মতিনসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
ওয়াকিল উদ্দিন বলেন, ‘এই আসন আমার নতুন নয়। আমি দীর্ঘ ১৭ বছর বৃহত্তর গুলশান থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ৭ বছর একই সংগঠনের সহ-সভাপতি ছিলাম। ছাত্রলীগের বৃহত্তর গুলশান থানার সভাপতি ছিলাম, তখনো এই এলাকা আমার সাংগঠনিক আয়ত্ত্বে ছিলো। এছাড়া আমি এই বাড্ডাতে পরপর ৫টা জাতীয় নির্বাচনের প্রধান সমন্বকারী ছিলাম। এই আসনের মানুষের সাথে আমার ওঠা বসার ইতিহাস নতুন নয়, অনেক পুরনো। এখানে আমার বাড়িঘর আছে এবং আমি এখানকার প্রতিটি মানুষকে চিনি। এটা আমার নিজের আসন। তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীকে আমি চিনি তারাও আমাকে চিনেন।’
এই বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘এলাকায় চলমান অনেক সমস্যা রয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট, কমিউনিটি সেন্টার- এগুলো সংস্কার করার জন্য ব্যাপকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ আরো বলেন, ‘গত ১১ দিনের প্রচারণায় আমি এই আসনের প্রতিটি এলাকায় গিয়েছি। আমাকে নৌকায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে আমি স্থানীয় জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে সকল সমস্যার পর্যায়ক্রমে গ্রহণযোগ্য সমাধান করবো। আমি আপনাদের লোক ও তৃণমূলের লোক। আমি ৫৪ বছর ধরে রাজনীতি করছি। আমি সবাইকে নিয়ে পথ চলতে চাই।’
এসময় তিনি বলেন, ‘আজ আনুষ্ঠানিকভাবে গণসংযোগ আমি শেষ করবো। গত ১১ দিন আমার নির্বাচনি এলাকার সব ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছি। কাল থেকে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবো। আশাবাদী, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন।’