নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনা ১৫ লক্ষ টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষুধ ও চোরাচালানের কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস সহ ২ জন গ্রেফতার হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার) যোগদানের পর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুন্ন রাখতে মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। এই নীতি বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২রা ডিসেম্বর ২০২৩ রাত সাড়ে ১২টায় খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানাধীন ২নং হাফছড়ি ইউপির জালিয়াপাড়া থেকে মানিকছড়ি সড়কের সিকদার মোড় নামক স্থানে যাত্রী ছাউনির সামনে হতে গুইমারা থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান পরিচালনা করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেক পোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন গাড়ী তল্লাশী কালে একটি সিলভার রং এর মাইক্রোবাস যাহার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার চট্টমেট্রো-গ ১১-৮৪৩৮ তল্লাশী কালে ভারতীয় কোম্পানির ২০ প্রকার ৩৩ হাজার ৩ শত ৪৩ পিস ঔষধ সহ ২জনকে আটক করেছে। এরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানার উত্তর রাঙ্গামাটিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম এর ছেলে মোহাম্মদ জাবেদ (২৪) এবং একই এলাকার মৃত কাজী মো জাহাঙ্গীর আলম এর ছেলে কাজী মোঃ ইব্রাহিম রিদয়ান (২২)।
উল্লেখ্য যে, উদ্ধারকৃত ২০ প্রকারের ৩৩ হাজার ৩শত ৪৩ পিস ভারতীয় ঔষধের অনুমানিক মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ১৫ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, জব্দকৃত ঔষধগুলো তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের নিকট জব্দকৃত ঔষধগুলোর বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র কিংবা কোন সদুত্তর প্রদান করতে পারেনি। জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় ঔষধ উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে জব্দতালিকা মূলে জব্দ করা হয়েছে।
গুইমারা থানা সূত্রে জানা যায়, তাদের একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্র বিভিন্ন সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত পথে অবৈধ ভাবে ভারতীয় ঔষধ সামগ্রী সহ বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চড়া মূল্যে বিক্রি করে থাকে বলে স্বীকারক্তি প্রদান করে। বর্ণিত ঘটনার বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক অত্র থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদেরকে যথাসময়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।