হামলা,প্রভাব বিস্তার,রেজাল্ট বদলের আশঙ্কা,ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স নিয়োগসহ ৭দফা দাবী
নুরুল আলম:: নির্বাচনে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স নিয়োগের দাবী জানিয়ে খাগড়াছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচন-২০২৩ এর প্রভাব বিস্তার,হামলা,রেজাল্ট পাল্টে দেয়াসহ নানা শঙ্কার অভিযোগ উঠেছে। এতে বিভিন্ন পদের দশ প্রার্থী তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরে সুষ্ঠ,অবাধ,নিরেপক্ষ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচন দাবী জানিয়েছেন।
সোমবার (৬ নভেম্বর ২০২৩) বিকেলে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা সমবায় অফিসার ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন এর কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন। এতে সভাপতি প্রার্থী-কামাল হোসেন,কাজী মো: মিজানুর রহমান,সহ-সভাপতি মো: মিলন ফরাজী, দপ্তর সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম,কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম ভূঁইয়া ও কার্য-নির্বাহী সদস্য মো: জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আবেদনে একজন জুডিসিয়াল বা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও প্রয়োজনীয় পুলিশ ফোর্সের পাশাপাশি সমিতির ভবনে ব্যবসায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান,হোটেল বন্ধ রাখাসহ প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষে সমিতির ভবনের পরিবর্তে আদালত সড়কের অফিসার্স ক্লাবে নির্বাচনী ভ্যানু করার তিন পৃষ্টার আবেদনে দাবী জানান।
এছাড়াও মোট ব্যালটের সংখ্যা,প্রদত্ত ভোটের ব্যালট সংখ্যা উদ্বৃত্ত ব্যালেট সংখ্যা কত তা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর নাম ঘোষনার পূর্বে প্রকাশ। ভোট কেন্দ্রে মোবাইল না নেওয়া নিশ্চিত করণ,গোপন পর্দায় ব্যালট-সীল দেওয়ার ব্যবস্থা, প্রত্যেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট নিয়োগ ও প্রভাবমুক্ত রাখা।
এজেন্ট ও পোলিং অফিসারদের বুথ থেকে ১০ মিটার দূরত্ব বজায় রাখা,নির্বাচন কর্মকর্তা ছাড়া কোন প্রার্থী বা প্রভাবশালী ব্যক্তি ভোট কেন্দ্রের ভেতর ভোটদান ব্যাতিত প্রবেশ করতে না দেওয়া এবং অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে রাজনৈতিক দল,অরাজনৈতিক সংগঠন ও কোন সরকারি আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রিয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রভাবমুক্ত নির্বাচনে সম্পন্ন করার দাবী জাানানো হয় এতে।
উল্লেখিত আবেদনের অনুলিপি সরকারি ও বিভিন্ন প্রশাসন,গোয়েন্দা,সাংবাদিক সংগঠনকে অনুলিপি প্রেরণ করে প্রার্থীরা। এতে বিভিন্ন পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা তাদের শঙ্কা জানিয়ে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা সমবায় অফিসার ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জহির উদ্দিনের হাতে হস্থান্তর করে। পরে নির্বাচনে প্রার্থীরা নানা অভিযোগ ও শঙ্কার কথা তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে।
এতে উল্লেখিত আবেদন সমর্থন করে গণস্বাক্ষর করেন,কাজী মো: মিজানুর রহমান,কামাল হোসেন,মো: মিলন ফরাজী,মো: জাহাঙ্গীর আলম,মো. নজরুল ইসলাম,আবুল কালাম ভূঁইয়া,জামাল উদ্দিন,হাজ¦ী খোরশেদ আলম,উত্তম দে রনি ও মুজিবর রহমান।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা সমবায় অফিসার ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ জহির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব অনুসারে প্রার্থীতা প্রত্যাহার আছে। প্রতীক বরাদ্দ আছে। তার পর আমরা সিধান্ত নেবো। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে হয় সে চেষ্টা করবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উল্লেখ যে, এই নির্বাচনে সভাপতি,সহ-সভাপতি,সাধারন সম্পাদক,সহ-সাধারন সম্পাদক,দপ্তর সম্পাদক,কোষাধ্যক্ষসহ প্রতি পদে ১জন করে ও কার্য-নির্বাহী সদস্য পদ ৩ জনসহ প্রতিদ্বন্দ্বীতার মাঠে এখন পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা ২১ জন। প্রাথমিক খসড়া তালিকা অনুযায়ী ২১ প্রার্থীর বিপরীতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে ১৬৫ জন ভোটার।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্য দুই সদস্যরা হচ্ছেন, হিল্টন ত্রিপুরা ও থৈইউপ্রু মগ। চলতি ২০২৩ সালের ১৭,১৮,১৯ অক্টোবর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ,জমা ২২ অক্টোবর,বাছাই ২৩ অক্টোবর, ৭ নভেম্বর প্রত্যাহার,৮ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং ১৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে বলে তারিখ নির্ধারন করা আছে।