মো: নাছির উদ্দীন, দীঘিনালা:: খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার বৃহত্তর ছোট মেরুং বাজারের প্রবেশ মুখে মূল সড়কের পাশেই যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। এতে দুর্গন্ধে ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে আশেপাশের পরিবেশ। পথচারী ও বিদ্যালয়গামী ছাত্র ছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে।
উপজেলার বৃহত্তর এই বাজারের ভেতর দিয়েই দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটির জেলার লংগদু, বাঘাইছড়ি দুটি উপজেলার যাতায়াতের মূল সড়ক এটি। তাছাড়া প্রতি বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক হাট বসে মেরুং বাজারে। বাজারের ভেতরের এই মুল সড়কটি দিয়েই দীঘিনালা, মেরুং ও লংগদুর, বাঘাইছড়ি উপজেলায় যানচলাচলসহ শত মানুষ চলাচল করে। এছাড়াও ছোট মেরুং উচ্চবিদ্যালয়, ছোটমেরুং আশ্রাফিয়া দাখিল মাদরাসার, ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে।
বাজারের প্রবেশ মূখে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ থেকে আসা দুর্গন্ধ, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীসহ মেরুং বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা।
বাজারে পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাও ময়লা-আর্বজনাগুলো প্রতিনিয়ত সড়কের পাশে এনে ফেলছেন। এছাড়াও মেরুং বাজারের ভেতর মালেক কাজী সওদাগরের পেছনের গলির মার্কেটের রাস্তাও স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশও ময়লা-আবর্জনা।
এসব বজ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য পরিকল্পিত পরিবেশ বান্ধব কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করারয় দুর্ভোগ পোহাতে হয় পথচারীদের।
পথচারী অনেকেই জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সঠিক পদক্ষেপ নিলে যেমন বাজারের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেত তেমনই শিক্ষার্থী ও পথচারীদের দুর্গন্ধে নাক চেপে চলতে হতো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যবসায়ী জানান, প্রতিদিন মেরুং বাজারের সকল ময়লা-আবর্জনাগুলো সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা হচ্ছে। এসব ময়লার স্তুপ থেকে আসা পচা গন্ধ বাতাসের সাথে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকাবাসী ও পথচারীদের অনেকেই শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “বাজারের বিষয়টি দেখভাল করেন খাগড়াছড়ি বাজার ফান্ড প্রশাসন ও বাজার পরিচালনা কমিটি।”
বিষয়টি নিয়ে মেরুং বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, “বিষয়টি নিয়ে আমরা বসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।”