নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকা থেকে প্রতিনিয়তই রাধের আধাঁরে ছাড়পত্র বিহীন পাচার হচ্ছে গোল, রদ্দা ও জ্বালানি কাঠ। প্রশাসন ও একটি প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে যেসব জোতপারমিট ও রোলটি পারমিট দিয়ে কাঠ সমতলে নিয়ে যাচ্ছে তাতে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে। আর রাতের অন্ধকারে যেসব গাছের গাড়ি অবৈধ ভাবে যাচ্ছে যেসব থেকে সরকার রাজস্ব হাড়াচ্ছে। কিন্তু এসব অবৈধ পাচার কারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। অর্থের দাপটে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই মহলটি। অবৈধ পাচার রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন সচেতন মহল।
সূত্রে জানা যায়, প্রায়ই এই বড়পিলাক, ৫নম্বর, তৈর্করা, কালাপানি, হাফছড়ি, হাতিমুড়া, সিন্দুকছড়ি, মাহবুব নগরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনে রাতে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে মানিকছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম ও রামগড় হয়ে সমতলের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান গোল, রদ্দা ও জ্বালানি কাঠ পাচার করা হয়। এই নিয়ে বার বার সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় প্রশাসান ও ফরেস্ট অফিসগুলো নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
সচেতন মহল বলেন, এভাবে দিনে রাতে একের পর এক ছোটবড় গাছ কেটে পাচার করা হলে পরিবেশ বিপর্যয় ও ভারসাম্য হাড়াবে। এলাকার একটি চক্র এই গাছ কাটা ও পাচার এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা প্রশাসন ও ফরেষ্ট অফিস গুলোকে ম্যানেজ করেই অসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা প্রয়োজন। তা না হলে অচিরেই পরিবেশের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩) রাত সাড়ে ৭টায় গুইমারার বড়পিলাক এলাকায় গাছ পাচার কালে স্থানীয় সাংবাদিক গাছ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে উপস্থিত গাছের মালিক ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সাংবাদিকের উপর চড়াও হয় এবং এসময় গাছের মালিক মানিকছড়ি গচ্ছাবিল এলাকার আমিনুল ইসলাম সোহাগ বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও লাঞ্ছিত করে। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। পরে সেই সাংবাদিক স্থানীয় ফরেষ্ট অফিসারকে বিষয়টি অবগত করেন। তবে কোনো এক অদৃশ্য শক্তির কারনে এখনো পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো তদন্ত করেনি ফরেষ্ট অফিসার।
এই বিষয়ে জালিয়াপাড়া ফরেষ্ট অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বড়পিলাক থেকে অবৈধ ভাবে ট্রাক বোঝাই করে গাছ পাচার হচ্ছে এমন একটি সংবাদ পেয়েছিলাম। যে অভিযোগ দিয়েছে সে আর যোগাযোগ করেনি তাই আর বিষয়টি নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বড়পিলাক এলাকা থেকে রাতের আধাঁরে গাছ পাচার ও সাংবাদিক লাঞ্ছিত করার বিষয়ে খাগড়াছড়ি বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এভাবে গাছ পাচার হচ্ছে দেখে শুধু সাংবাদিক নয় যেকোনো নাগরিকের প্রশ্ন করার অধিকার আছে। তবে এই বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমি মাত্রই শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।