নিজস্ব প্রতিবেদক:: পবিত্র আল-কুরআন ও আল-হাদিসের অপব্যাখ্যার অভিযোগে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে সর্বস্তরের জনগণ।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে ঢাকা-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের দুই পাশে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার আলেম-ওলামাসহ তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মো. হারুন অর রশিদ। এছাড়া বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি মাওলানা আখতারুজ্জামান ফারুকী, ইসলামী আইন গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতি আল-আমিন হাবিবি, নির্বাহী সদস্য হাফেজ মুফতি আব্দুল হান্নান জুলফিকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অভিযোগের বিবরণ
জানা যায়, মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে আল-কুরআন ও আল-হাদিসের বিভিন্ন অপব্যাখ্যা দিয়ে আসছেন। তিনি নিজেকে “আহলে কুরআন” দাবি করে হাদিস সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন এবং মহানবী (সা.)-কে অবমাননাকর ও কটাক্ষসূচক বক্তব্য দেন।
এছাড়া, তার মতাদর্শ প্রচারের লক্ষ্যে তিনি সহকর্মীদের কাছে সমর্থন চাইতেন এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে বারবার একই ধরনের বার্তা পাঠাতেন। অনেকে এতে বিরক্ত হয়ে তাকে নিষেধ করলেও তিনি তা অব্যাহত রাখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে মাটিরাঙ্গার তৌহিদী জনতা তার বিচার দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আইনানুগ ব্যবস্থা ও হুঁশিয়ারি
মানববন্ধনে মাটিরাঙ্গা ইমাম ও ওলামা কল্যাণ সমিতি, কওমী মাদ্রাসা ওলামা ঐক্য পরিষদ, ইসলামী আইন গবেষণা পরিষদ, ইসলাম প্রচার সংস্থা, খিদমাতুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন অংশ নেয়।
বক্তারা অধ্যক্ষ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। অন্যথায়, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
অপরদিকে, অভিযুক্ত শিক্ষকের প্রতি আহ্বান জানানো হয় যে, তিনি যদি প্রকাশ্যে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান এবং প্রকৃত ইসলামে ফিরে আসেন, তাহলে তাকে ১০ দিনের সময় দেওয়া হবে। অন্যথায়, ইসলাম অবমাননাকারী যে-ই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দেন বক্তারা।
মানববন্ধনে মাটিরাঙ্গার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।