নিজস্ব প্রতিবেদক::রাঙ্গামাটির কাউখালীতে চাঁদা নিতে এসে জনতার ধাওয়ার মুখে পালিয়েছে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের ৫ সশস্ত্র ক্যাডার। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা চাঁদাবাজির অভিযোগে তাদের দুই সহযোগীকে আটক করে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে কলমপতি ইউনিয়নের দুর্গম গাড়ীছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সেদিন রাতেই স্থানীয়রা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। কাউখালী থানার ওসি সাইফুর রহমান সোহাগ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় চা দোকানদার ওসমান জানান, শনিবার বিকেলে ইউপিডিএফের ৫ সশস্ত্র ক্যাডার তার দোকানে চাঁদা নিতে আসে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। কিছুক্ষণ পর তারা ব্যবসায়ী ওসমান, স্থানীয় মেম্বার ইসলাম এবং তার ছেলে শেখ মনিরকে বৌদ্ধ বিহারে গিয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন নেতার সঙ্গে দেখা করার জন্য চাপ দেয়। রাজি না হলে অস্ত্রের মুখে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিকেল ৩টার দিকে লাঠিসোঁটা নিয়ে এলাকায় জড়ো হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পাশের পাহাড়ে পালিয়ে যায়। তবে জনতা ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন দুই সহযোগী, সিএনজি চালক রুই অং মারমা ও সানু মং মারমাকে আটক করে। পরে তাদের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইসলাম মেম্বার বলেন, “ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে এ অঞ্চলের ব্যবসায়ী, খামার এবং বাড়ি থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে অপহরণ কিংবা হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তাদের প্রতিরোধে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
কাউখালী থানার ওসি সাইফুর রহমান সোহাগ জানান, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্দেহভাজন আটক দুইজনকে গোদারপাড় ক্যাম্প থেকে মুচলেকায় আত্মীয়দের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়াহয়েছে।