নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় যেন বিজয় মেলা নামে অশ্লিল নৃত্য আর জুয়াসহ অবৈধ কর্মকান্ডের স্বর্গরাজ্য। এই অবৈধ মেলা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও থামছে না মেলার নামে অবৈধকার্যক্রম।
জানা যায়, খাগড়াছড়ি জেলাজুড়ে অনুমোদন ছাড়াই প্রশাসনের নাকের ডগায় সকল কার্যক্রম চলমান থাকলেও প্রশাসন সব কিছু দেখার পর অদৃশ্য কারনে নীরব ভূমিকা পালন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। অবৈধ মেলা বন্ধে ইউএনও, ওসি ও ডিসিদের থেকে একাধিকবার বক্তব্য নিলে বিষয়টি দেখছি বলেও এখনো পর্যন্ত বহাল তবিয়তে চলছে এই অবৈদ মেলার কার্যক্রম। যা স্থানীয় সচেতন মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় রুপ নিয়েছে।
সচেতন মহল বলছে, মেলার নামে যে জুয়ার আসর চলছে এতে করে কৃষক, তরুণ, শ্রমিক, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়ছেন মরণনেশায়। এসব আসরে উড়ছে লাখ লাখ টাকা। বর্তমানে জুয়াবাজির জন্য বিভিন্ন রকমের আসর বসে এসব অনুমোদনহীন মেলায়। কোথাও হাউজি আবার কোথাও সবুজ টেবিল নামে। ফুটবল ও অন্যান্য খেলাধুলার প্রতিযোগিতায়ও বাজি ধরা হয়। এছাড়াও লটারীর নামে অভিনব কায়দায় পকেট কাটছে হতদরিদ্্র-বিত্তশীলসহ বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষদের।
শুধু জুয়া নয় আলো আঁধারে উচ্চ ভলিউমে অশ্লিল সংগীতের সঙ্গে চলছে উন্মাতাল নৃত্য। মদ, বিয়ারসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য খেয়ে মাতাল বা অর্ধমাতাল যুবক ও মধ্য বয়সী সমাজের মানুষরা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, অশ্লীল নৃত্য প্রকাশ্যে চলছে মানিকছড়ির মেলায়। যা দেখে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এদেশের মুসলিম মূল্যবোধকে ধ্বংস করে একটি মহল অপসংস্কৃতির যে নজির স্থাপন করেছে, তাতে যুবসমাজকে ভয়াবহভাবে বিপথগামী করছে। তাই দ্রুত অবৈধ কর্মকান্ড সাথে জরিতদের চিহ্নিত ও মুখোশ উন্মোচনের জোর দাবি জানায় স্থানীয়রা।
১১ জানুয়ারী ২০২৫ দুপুরে অনুমোদনহীন অবৈধ সম্প্রীতির বিজয় মেলা দেখে আসার পথেই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সাহ্লাপ্রু মারমার।