নুরুল আলম::
খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিনিয়তই রাতের আধাঁরে ছাড়পত্র বিহীন পাচার হচ্ছে গোল, রদ্দা ও জ্বালানি কাঠ। প্রশাসন ও একটি গাছপাচারকারী মহলকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে রাতের অন্ধকারে যেসব গাছের গাড়ি অবৈধ ভাবে যাচ্ছে সেসব থেকে সরকার রাজস্ব হাড়াচ্ছে। কিন্তু এসব অবৈধ পাচার কারীদের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। অর্থের দাপটে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই মহলটি। অবৈধ পাচার রোধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন সচেতন মহল।

সূত্রে জানা যায়, প্রায়ই গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক, ৫নম্বর, তৈকর্মা, কালাপানি, হাফছড়ি, হাতিমুড়া, সিন্দুকছড়ি, মাহবুব নগরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দিনে রাতে প্রশাসন ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলকে ম্যানেজ করে মানিকছড়ি হয়ে চট্টগ্রাম ও রামগড় হয়ে সমতলের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমান গোল, রদ্দা ও জ্বালানি কাঠ পাচার করা হয়। এছাড়াও মানিকছড়ি উপজেলার গভামারা, বড়ডলু, বাটনাতলী, যোগ্যছলা, গচ্ছাবিল, তিনটহরীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকেই সমতলে পাচার হচ্ছে এসব কাঠ। এই নিয়ে বার বার সংবাদ প্রকাশ হলেও স্থানীয় প্রশাসন ও ফরেস্ট অফিসগুলো নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে। যার ফলে স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

শুধু গুইমারা উপজেলা নয় খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি, মহালছড়ি, মানিকছড়ি, রামগড়সহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিনিয়তই অবৈধভাবে দিনে ও রাতে পাচার হচ্ছে কাঠ। কাঠ পাচার রোধে এযাবৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অভিযানও দেখা যায়নি। মূলত প্রশাসন ও স্থানীয় গাছ পাচারকারীদের মদদেই হচ্ছে এসব অবৈধ কর্মযজ্ঞ।

সচেতন মহল বলেন, এভাবে দিনে রাতে একের পর এক ছোটবড় গাছ কেটে পাচার করা হলে পরিবেশ বিপর্যয় ও ভারসাম্য হাড়াবে। এলাকার একটি চক্র এই গাছ কাটা ও পাচার এর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। এরা প্রশাসন ও ফরেষ্ট অফিস গুলোকে ম্যানেজ করেই এসব অবৈধ কাজ করে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তা না হলে অচিরেই পরিবেশের ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হবে।

এই বিষয়ে জালিয়াপাড়া ফরেষ্ট অফিসার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, রাতের আধাঁরে গাছ পাচারের বিষয়টি সত্য। লোকবল কম থাকায় পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না। তবে আমরাও চাই যাতে অবৈধভাবে কাঠ পাচার বন্ধ হোক। কাঠ পাচার বন্ধে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

রামগড় ও মানিকছড়ি গাড়িটানা রেঞ্চ কর্মকর্তা কাঠ পাচারের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতিমধ্যে আমরা বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান কাঠ জব্দ করেছি। তবে অবৈধ কাঠ গুলো সাধারণত বিকল্প রাস্তা দিয়ে পারাপার হয়। এসব অবৈধ কাঠ পাচার বন্ধ করা প্রয়োজন এবং বিষয়টি নিয়ে উদ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন বলে জানায় তিনি।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!