শনি. জানু ৪, ২০২৫

স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম: জিয়াউর রহমানের অবদান


নিজস্ব প্রতিবেদক:: বাংলাদেশের ইতিহাসে জিয়াউর রহমান (১৯ জানুয়ারি ১৯৩৬ – ৩০ মে ১৯৮১) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তিত্ব, যিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডার থেকে শুরু করে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি জাতির উন্নয়নে নানাবিধ ভূমিকা রেখেছেন, যা আজও আলোচিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব ও অবদান:
জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ১নং ও ১১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশকে মুক্ত করতে অসামান্য ভূমিকা রাখেন। তাঁর সাহসিকতা ও নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রেরণা সঞ্চার করে।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম:
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর পর দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় জিয়াউর রহমান দেশের নেতৃত্বে আসেন। ১৯৭৭ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেন।

১. গ্রামীণ উন্নয়ন:
জিয়াউর রহমান গ্রামীণ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তিনি “শতবর্ষী গ্রামোন্নয়ন প্রকল্প” চালু করেন, যা গ্রামাঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনে।

২. বহুমুখী কৃষি উন্নয়ন:
তিনি কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথ তৈরি করেন। কৃষকদের জন্য ভর্তুকি প্রদান এবং সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

৩. রাজনৈতিক সংস্কার:
জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশের রাজনীতিতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত।

৪. আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেন। জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করেন।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!