শিরোনাম
বুধ. জানু ১, ২০২৫

পর্যবেক্ষণের অভাবে টাউন হল এখন মাদক সেবকদের আড্ডাখানায় পরিনত

দখলের টার্গেটে গুইমারা টাউন হলের জায়গা

নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা উপজেলার টাউন হলের জায়গা অবৈধভাবে দখলের মরিয়া হয়ে উঠেছে স্থানীয় একটি চক্র। টিনের বাউন্ডারী দিয়ে সরকারি জায়গা দখল করে সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করে র্দীঘদিন যাবৎ বসবাস করলেও দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের নিরব ভূমিকাকে কাজে লাগিয়ে যে যেভাবে পারছে সেইভাবেই টাউন হলের সরকারি জায়গা দখল করে নিচ্ছে।

উল্লেখ্য, স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ শ্বাসনামলে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা কংজরী চৌধুরী গুইমারার টাউন হলের জায়গায় শ্রমিকদের আবাসস্থল গড়ে তুলেছিলো। ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি ঘরে বিভিন্ন ঠিকাদারদের ভাড়া দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করেছিল এই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, তার ক্ষমতার দাপটে প্রশাসনও ছিলো বেহাল দশায়। যখন থেকে টাউন হলটি বিভন্ন শ্রমিকদের ভাড়ায় দিয়েছিল তখন থেকেই একে একে টাউন হলের মালামাল ক্ষয়-ক্ষতি ও লুটপাট হতে শুরু করে। বর্তমানে টাউন হলটি জরাজির্ণ অবস্থায় বিদ্যমান; নেই কোনো আসবাসপত্র, ইলেক্ট্রনিক ফ্যান কিংবা ফ্যান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামীলীগের দুঃশ্বাসনামলে কংজরী চৌধুরী টাউন হলের সকল মালামাল নিয়ে চেতে চাইলে আমি বাঁধা দেই। তখন আমি বাধাঁ দেওয়ায় আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত করে। জুলুমবাজ কংজরী চৌধুরীর ব্যপক ক্ষমতার কারনে মারধরের বিচার হয়নি। বর্তমানে তার সকল অপকর্মের বিচার চায় সেই ব্যক্তি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর ২০২৪) বেলা ১১ টায় টাউন হল সরেজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, টাউন হলটি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে আছে। ভিতরে প্লর ভেটে ভেটে বড় বড় গর্ত ও দেয়ালগুলো ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম। এছাড়াও সরকারি আসবাসপত্র কিছুই নেই বরং টাউন হলটি বর্তমানে স্থানীয় মাদকসেবকদের আড্ডায় খানায় পরিনত হয়েছে। প্রসঙ্গত অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখলসহ সকল আলামতের ছবি তুলতে গেলে জায়গা দখলকারী গুইমারা গভ. মডেল হাইস্কুলের বিজ্ঞান ও গণিতের সহকারী শিক্ষক লিংকন মারমা ছবি তোলায় বাঁধা দিয়ে বলেন ছবি তোলার অনুমতি কে দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন অহেতুক কথা বলে টাউন হল থেকে চলে যেতে বলে।

টাউন হলের সরকারি জায়গা দখল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে লিংকন মারমা বলেন, আমি জায়গাটি কংজরী চৌধুরী থেকে ভাড়া নিয়েছি। জায়গাটিতে থাকার জন্য তাকে প্রতি মাসে ভাড়া প্রদান করে থাকি।

উল্লেখ, ১৯৮২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে নির্মিত হয় টাউন হলটি। পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক টাউন হলটি সংস্কার করে আসবাসপত্র প্রদান করে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!