শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে শিক্ষক হত্যার বিচারের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি


নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানার হত্যাকারীদের গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবীতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে পাহাড়ে সংঘাত বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবী জানানো হয়।

বৃহসপতিবার খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার কাছে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

স্মারকলিপিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি, শৃঙ্খলা ও সকল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে যথাযথ ক্ষমতা প্রদান, অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করে যৌথ অভিযানের মাধ্যমে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্বারে সরকারকে কার্যকর ভূমিকার রাখার দাবী জানান।

স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালে শিক্ষক সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা করেছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন। এর পর থেকে শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্য্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্রছাত্রীরা। এর প্রেক্ষিতে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা গত ১লা অক্টোবর প্রতিষ্ঠান থেকে রিলিজ অর্ডার নিতে আসলে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডকে পরিকল্পিত দাবী করে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয় যে, উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা পাহাড়কে সু-পরিকল্পিতভাবে অশান্ত করে রাখতে চাইছে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার নীল নকশার অংশ হিসেবে সন্ত্রাসীরা গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

স্মারকলিপিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহরে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো: মামুনকে পিটিয়ে হত্যা, ১৯ সেপ্টেম্বর মামুন হত্যার প্রতিবাদে দীঘিনালায় শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলিবর্ষণ, ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারের আড়ালে তান্ডবলীলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করা হয়

উল্লেখ, গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) একই প্রতিষ্ঠানের ৭ম শ্রেণির ত্রিপুরা এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার জেরে শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। চলে সংর্ঘষ, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ওই দিন বিকাল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বুধবার বিকাল ৩টায় ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!