পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ছিনিমিনি’র খেলার ফল ভয়াবহ হবে
নুরুল আলম: খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ বাতিল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১ম-২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে ৫% আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবীতে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
জেএসএস (এমএন লারমা) সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুভাষ চাকমার সঞ্চালনায় সভাপতি মৃনাল চাকমার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন,পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক পিন্টু চাকমা কৃতিত্ব।
এতে পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি সুজন চাকমা (ঝিমিট),সাংগঠনিক সম্পাদক মনতোষ ত্রিপুরা,পার্বত্য চট্টগ্রাম যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি জ্ঞান প্রিয় চাকমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারন সম্পাদক অমর সিং চাকমা। সমাবেশে ছাত্র ও যুব সমাজের পক্ষ থেকে সংহতি বক্তব্য রাখেন,মেঘদুৎ ত্রিপুরা ,কৃপায়ন ত্রিপুরা ও ত্রিপুরা স্টুডেন্ট ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নয়ন ত্রিপুরা।
এতে বক্তারা বলে, পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। এর ফল ভয়াবহ হবে বলে হুশিয়ারী জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে আদিবাসী কোটা বাতিলসহ ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি-১৯০০ এর নিয়ে খেলছে। অচিরেই এই ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে প্রয়োজনে ষড়ষন্ত্র কারীদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
তারা আরো পার্বত্য চুক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন, দীর্ঘ সংঘাতের পথ অতিক্রম করে জুম্মজাতি যখন পাহাড়ে শান্তির পথ খুঁজচ্ছে তখনেই তালবাহানা শুরু করেছে বিশেষ একটি মহল। বক্তারা উল্লেখ করেন, “হাকিম হইয়া হুকুম কর পুলিশ ধর, “সর্প হইয়া দংশন কর,ওঝা হইয়া ঝাঁড়, এই গানের মতই বর্তমান সরকার সময়কাল অতিক্রম করছে। এই সমস্ত ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন করা হবে উল্লেখ করেন।
পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সভাপতি দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে তাগিদ দেন। অন্য তাই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ নেতৃত্বে জুম্ম জনগণকে সাথে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়াও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি সারা দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ৫% আদিবাসী কোটা পুনর্বহালে দাবী জানান। এবং আন্দোলন কারীদের হত্যা ও হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।
এতে আরো ৫% কোটার কথা বলা হলেও তাও বাস্তবায়ন করা হয়না বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১৯০০ সালের শাসন বিধি বাতিল হলে পাহাড়ের হেডম্যান,কার্বারীদের যে দেওয়ানি ক্ষমতাসহ সকল ক্ষমতা আর থাকবে না। এ ক্ষমতা সরকারি নিয়োগপ্রাপ্তদের হাতে চলে যাবে বলে মন্তব্য করে নেতৃবৃন্দরা শাসন ব্যবস্থা,সমাজ ব্যাবস্থাকে ভেঙ্গে দিয়ে অস্তিত্বহীন করতে এ চক্রান্ত চলছে বলে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এতে।