নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরের দিকে মাটিরাঙ্গা বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
সিরাজুল ইসলাম উপজেলার বেলছড়ি ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাইফাপাড়ার মৃত মোহরম আলীর ছেলে। বর্তমানে সে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার কাজিপাড়ায় বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে তাইফাপাড়া মসজিদ সংলগ্ন সিরাজের নির্জন বাগান বাড়িতে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গরু আনতে যায়। সেখানে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সিরাজুল ইসলাম জোর করে বাড়ির ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। গরু আনতে দেরি হওয়ায় দিন মুজুর স্বামী জসিম উদ্দিন খুজতে গেলে ২ জনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। জসিমকে দেখে সিরাজুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করলে সিরাজুলকে গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালানা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, সিরাজুল আমার এলাকার ভোটার। মঙ্গলবার বিকালে হঠাৎ ভুক্তভোগীর স্বামী আমাকে ফোনে ধর্ষণের বিষয়টি জানালে সরজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ প্রদান করি।
সিরাজুল একজন প্রতারক উল্লেখ করে রুহুল আমিন আরো বলেন, সিরাজুল প্রতারণা করে এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সুযোগ বুঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, এমপি, সচিব বা উপসচিবদের সাথে ছবি তুলেন। পরে এসব ছবি ফেসবুকে আপলোড দেন এবং তাদের সাথে সিরাজের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে এলাকায় প্রচার করেন। অবস্থা বুঝে চাকরি দেওয়া, উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প অনুমোদন, মামলা নিষ্পত্তি করে দেওয়া, আবার কখনো সরকারি চাকরীজীবিদের বদলী করিয়ে দেওয়া কিংবা বদলী আদেশ প্রত্যাহার করা, সরকারির ঘর দেওয়া ও রেশন কার্ডের নাম পরিবর্তরে কথা বলে এলাকা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আর এসব ব্যাপারে একাধিক বার পরিষদে বিচার হয়েছে এবং এখনো অনেক লিখিত অভিযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃঞ্চ ধর সিরাজুলকে গ্রেফতারের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগীর মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে সিরাজুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিধি মোতাবেক যথা সময়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে। অপরদিকে ভুক্তভোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।