শিরোনাম
সোম. ডিসে ২৩, ২০২৪

নুরুল আলম:: বান্দরবানের আলীকদমে মারাইংতংয়ে বেড়াতে এসে মো. ইফতেখারুল আহমেদ আবিদ নামে এক পর্যটকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাতে মারাইংতং পাহাড়ের চূড়ায় অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে লামা সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। লামা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরে মৃত্যুর বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ লামা থানায় নিয়ে যায়।

মৃত মো. ইফতেখারুল আহমেদ আবিদ টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার গান্ধিনা গ্রামের মো. হেলাল উদ্দিনের ছেলে। সে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র বলে জানা যায়। বর্তমানে লাশ লামা থানায় আছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে ১২ জন পর্যটক মারাইংতং জেদী পাহাড়ের ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আলীকদমে আসেন। আবাসিক এলাকার ট্যুর অপারেটর ইয়াছিন ভাই হোটেলের মালিক ইয়াসিনের মাধ্যমে ১২ জন পর্যটক শুক্রবার বিকালে মারাইংতং জেদী পাহাড়ে উঠে। সেখানে রাতে তারা টেন্ট ক্যাম্পিং করেন।

আলীকদম ট্যুর গাইড এসোসিয়েসনের সাধারণ সম্পাদক জানান, মারাইংতং জেদী পাহাড়ে ট্যুর অপারেটর জনৈক ইয়াছিন আরাফাতের তত্ত্বাবধানে যে সব পর্যটক মারাইংতং পাহাড়ে যায় এবং রাত্রী যাপন করে তারা উপজেলা প্রশাসনের আওতাধীন পর্যটন সেবা তথ্যকেন্দ্রে কোনো প্রকার তথ্য/ডাটা এন্ট্রি করে না বলে অভিযোগ করেন।

ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, আবাসিক এলাকার ইয়াছিন ট্যুর গাইডের সদস্য নন। বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী ট্যুর গাইডের সদস্য ব্যতিত পর্যটক নিয়ে আলীকদমের কোথাও যাতায়াত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ রয়েছে।

আবাসিক এলাকার ট্যুর গাইড অপারেটর মো. ইয়াসিন আরাফাতের কাছে পর্যটকদের ডাটা এন্টি না করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই এলাকার পর্যটক ব্যবসায়ীরা কেউ ডাটা এন্টি করে না। আমি একা নয় সবাই যে যার মত ট্যুরিস্ট/পর্যটক নিয়ে মারাইংতং পাহাড়ে ব্যবসায় পরিচালনা করছে, তাই আমিও করছি।

লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামীম শেখ পর্যটক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার শ্বাস কষ্ট ছিলো বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এখন তার লাশ লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে করে থানায় রাখা হয়েছে। তার পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তার বন্ধুরা সবাই আছে।

তিনি আরো বলেন, রোদের মধ্যে সারাদিন দুর্গম পাহাড়-ঝর্ণায় বেড়ানোর কারণে শরীর দুর্বল হয়ে অসুস্থ ও এক পর্যায়ে আবিদের মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন পৌঁছালে তার মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!