নুরুল আলম: খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারা উপজেলায় নেই কোনো সরকারি হাসপাতাল। নেই কোনো বেসরকারি ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তাই সঠিকভাবে রোগ শনাক্ত সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি কোনো হাসপাতাল না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এ অঞ্চলের ৫০ হাজার মানুষ। বাধ্য হয়ে সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা পেতে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে চিকিৎসার জন্য যেতে হচ্ছে পার্শ্ববর্তী উপজেলায়। এতে করে ভোগান্তি, সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। অনেক সময় গর্ভবতী মহিলা ও গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত এ উপজেলার মানুষ অপুষ্টি ও নানা রোগ নিয়ে বেঁচে আছে।
খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার হাফছড়ি, মহালছড়ির সিন্দুকছড়ি ও মাটিরাঙার গুইমারা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হয় গুইমারা উপজেলা। ২০১৪ সালের ৬ জুন প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ১০৯তম সভায় খাগড়াছড়ির নবম উপজেলা হিসেবে গুইমারাকে অনুমোদন দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১০ বছর পার হলেও এ উপজেলায় নির্মাণ হয়নি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. মো. ছাবের জানান, গুইমারা উপজেলা হাসপাতালের কাজ দ্রুত শুরু হবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি গুইমারা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেমং মারমা স্থানীয় সরকার দিবসে গণভবনে উপস্থিত হয়ে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য আবেদন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়ে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে এক সভায় উত্থাপিত করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দ্রুত নির্মাণ করা হবে বলেও আশ্বাস প্রদান করেন। তাছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নিকট ডিও লেটার পাঠানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে দ্রুতই চিঠিটি পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।