শিরোনাম
সোম. ডিসে ২৩, ২০২৪

নুরুল আলম:: ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে খাগড়াছড়িতে প্রবল বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে দুই শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। পাহাড় ধস ও গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে। রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছ কাটার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাসেল হোসেন (২১) নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বড় মেরুং এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে নিহত হয়েছে মুসফিক (২)। এছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গুইমারা, মানিকছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর, মাটিরাঙ্গা, রামগড়, পানছড়ি দিঘিনালা, লক্ষ্মীছড়ি ও মহালছড়িতে ঘর-বাড়ি ও বাগান বাগাচায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর, সবজি বাজার, সবুজবাগ, মুসলিম পাড়া ও কমল-ছড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুই শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। দুর্গত এলাকার লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে পানি বন্যায় প্লাবিত স্থান থেকে পানি সড়ে লোকজনের চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

এদিকে সোমবার রাতে আলুটিলার খাসরাং-এর সামনে রাস্তার উপর বিদ্যুতের খুঁটিস ভেঙ্গে পড়া গাছ সরাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী মো. রাসেল হোসেন নিহত ও অপর কর্মী জাহিদুল ইসলাম আহত হয়।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকের হোসেন জানান, রাস্তার উপর পড়া গাছসহ বৈদ্যুতিক খুঁটি সরাতে গিয়ে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এদিকে বড় মেরুং এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে নিহত মুসফিক (২) এর পিতা আবদুল লতিফকে সমবেদনা জানান এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ওমর ফারুক পিএসসি।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে আলুটিলা এলাকায় সড়কের উপর পাহাড় ধসে পড়ায় যানবাহন চলাচল বিঘ্ন হচ্ছে। খাগড়াছড়িতে রেমালের প্রভাবে পাহাড় ধসসহ ঝুঁকি এড়াতে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

অপরদিকে, গুইমারা উপজেলার রাস্তা হতে গাছ অপসারণ হাফছড়ি ইউনিয়নের তৈকর্মাপাড়া এবং সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নের সিন্দুকছড়ি বাজারের ব্রীজের পাশে মাটিসহ রাস্তা ধ্বসে যাওয়া স্হানে মেরামতের কাজ সিন্দুকছড়ি জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্নেল সৈয়দ পারভেজ মোস্তফা পিএসসি,জি এর নির্দেশে এবং ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মাহবুবুল বারী এর নেতৃত্বে এসকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
বন্যার্তদের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে দীঘিনালায় আকস্মিক বন্যায় আশ্রয় নেয়া পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে সেনাবাহিনী।

বুধবার (২৯ মে) ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা তুলে দেন, দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ওমর ফারুক পিএসসি।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দীঘিনালা জোনের এ্যাডজুট্যান্ট ক্যাপ্টেন এম এ মোমেন শিহাব এবং ১নং মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহামুদা বেগম লাকী।

এব্যাপারে দীঘিনালা জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ওমর ফারুক পিএসসি বন্যার্তের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আছেন আপনাদের কষ্ট আমরা বুঝি। এ জন্য ত্রাণ সহযোগিতা নিয়ে এসেছি, ভবিষ্যতে আপনাদের পাশে আছি।

এদিকে বড় মেরুং এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে নিহত মুসফিক (২) এর পিতা আবদুল লতিফকে সমবেদনা জানান এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ওমর ফারুক পিএসসি।

ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে, চাল, ডাল, আটা, তেল, চিনি, লবণ, চা পাতা, বিস্কুট ইত্যাদি। এসময় শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!