শিরোনাম
সোম. ডিসে ২৩, ২০২৪

চাইল্ড পার্লামেন্টের সুপারিশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বৃদ্ধির আশ্বাস ডেপুটি স্পিকারের

ডেস্ক নিউজ:: “সকল শিশুই মূল্যবান,করবে দেশের উন্নয়ন”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ওয়াই মুভস প্রকল্পের অধীনে এনসিটিএফ (ন্যাশনাল চিলড্রেন টাস্কফোর্স) এর চাইল্ড পার্লামেন্টের ২৩ তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার গুলশান ১ লেকশোর হাইটসে যুব নেতৃত্বাধীন সংগঠন ইয়েস বাংলাদেশ এর কারিগরি সহায়তায় ২৩ তম চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন প্রপা মজুমদার, স্পিকার চাইল্ড পার্লামেন্ট। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মোঃ সামসুল হক টুকু, এমপি।
শিশুদের সুরক্ষা বিষয়ক আলোচনায় তিনি বলেন, “এ বিষয়ে সরকারের সচেতনতার কোনো অভাব নেই। সুরক্ষার জন্য আমরা পরিবারকে ভাতা দিচ্ছি, শিশুর পরিচর্যার জন্য সরকার সহযোগিতা করছে। তবে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। নৈতিক শিক্ষায় যেন শিক্ষিত হয়। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলার এবং শরীর চর্চার সুযোগ দিতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধ করতে, এলাকাভিত্তিক পার্লামেন্ট এর আয়োজন করতে পারেন, সেখানে সকল শিক্ষক, প্রতিনিধিদের নিয়ে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে পারেন।”
অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট এন্ড ইমপ্লিমেন্টেশন) আফরোজ মহল। এনসিটিএফ চাইল্ড পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ডিকে দিব্বা মনি, প্যানেল ডেপুটি স্পিকার মাইশা আহমেদ, আরিয়ান আহমেদ বিজয়, সুমি আক্তার, এনসিটিএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জয়িতা দত্ত কথা, সাধারণ সম্পাদক ফাহিম জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সাল থেকে প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং সেভ দ্যা চিল্ড্রেন ইন বাংলাদেশ ৬৪টি জেলায় এনসিটিএফ শিশুদের নিয়ে শিশু অধিকার বিষয়ক কাজ করে আসছে। এবছর চাইল্ড পার্লামেন্টের কোর কমিটির সদস্যরা ২৩ তম অধিবেশনের পূর্বে বিশেষ অঞ্চলের শিশুদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং শিশু অধিকার সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ক চাইল্ড পার্লামেন্ট জরিপ ২০২৪ পরিচালনা করেন। ২৩ তম চাইল্ড পার্লামেন্টের মাধ্যমে চাইল্ড পার্লামেন্ট সদস্যরা বাংলাদেশ সরকারের ভিশন-২০২১ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ স্বপ্ন বাস্তবায়নে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত এলাকার শিশুদের জন্য শিক্ষা খাতে বাজেট প্রণয়ন,শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা করা, প্রান্তিক অঞ্চলের শিশুদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা করা, প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল গুলোতে মাল্টিমিডিয়া, ল্যাপটপ ও প্রিন্টিং এর ব্যবস্থা করা, কৈশর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কর্ণার এর সময় সুচির পরিবর্তন করা, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় কিশোর-কিশোরী কর্নার স্থাপন, ভ্রাম্যমান ল্যাব/ইন্টারনেট সুবিধা পয়েন্ট চালু করা, জেলা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যন্ত্রপাতি ক্রয় ও মেরামত বাবদ বরাদ্দ প্রদান, শিশু ওয়ার্ডে বেড এবং ওয়ার্ড সংখ্যা বৃদ্ধি করা, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর ১০৯ এর সেবার মান ও পরিধি বাড়াতে জনবল বৃদ্ধি, পাঠ্য বইতে সাইবার বুলিং এর পাঠ অন্তর্ভুক্তকরণ, বাল্যবিবাহ বিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে সুপারিশ করেছেন। উত্থাপিত সুপারিশ সমুহের প্রেক্ষিতে ডেপুটি স্পিকার মহোদয় নিম্নোক্ত প্রতিশ্রুতি সমূহ ব্যক্ত করেছেন যে আসন্ন বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত এ বাজেট বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করবেন।

 

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!