সংবাদ সম্মেলনে মো. মজিবর রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক:: বর্তমান সময়ে চলমান পরিস্থিতিতে বান্দরবান জেলায় কুকি-চিনের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে চলমান বিভিন্ন পরিস্থিতি কেন্দ্র করে তীব্র নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ।
কেএনএফ সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের অর্থ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অস্ত্র লুট করে নিয়ে যাওয়া পর এখন অস্ত্র জমা দিয়ে পুনরায় আলোচনায় বসবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সাথে আলোচনার মাধ্যমে কেএনএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম আরও জোর পেয়েছে। সরকারি অস্ত্র উদ্ধার করার পাশাপাশি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কুকি-চিন ও অন্যান্য সংগঠনকে নির্মূল করার জন্য যৌথবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখা দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে হোটেল গ্রান্ডভ্যালী রেস্টুরেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে এতোদিন ইউপিডিএফ ও জেএসএসের চাঁদাবাজি, গুম, খুন, অপহরণসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়ে আসলেও বর্তমানে নতুন করে কেএনএফের অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছে এ পার্বত্য অঞ্চলে। কুকি-চিন পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় অর্ধেক ভূমি নিয়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতাসহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কুকি-চিন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানে একের পর এক খুন, গুম, চাঁদাবাজি, হত্যা, রাহাজানি এবং নিরাপত্তাবাহিনী ও সাধারণ মানুষের লাশ ঝরতে দেখা যাচ্ছে।
উপজেলার নির্বাচন প্রসঙ্গে কাজী মজিবর বলেন, দুই উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়নি। নির্বাচনে আইন তোয়াক্কা না করে প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালিয়েছে। যা নির্বাচনে যে আইনটি সেটি তারা লঙ্ঘন করেছে। নির্বাচনে প্রচারণাকালীন আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কর্মীদের প্রাণনাশের প্রকাশ্য হুমকিসহ অকাথ্য ও নিম্নমানের ভাষায় ব্যবহার করেছে। শুধু তাই নয় আমাদের দুই ভাইকে নিয়ে নোংরা রাজনৈতিক খেলছে বলে মন্তব্যে করেছে জেলা আ.লীগে সাধারণ সম্পাদক। তার এ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমরা সন্তুষ্টি নয়। ভোট গ্রহণের শেষ সময় চারটা বাজে কথা থাকলেও সেটি শেষ করা হয়েছে সাড়ে তিনটা সময়। তাছাড়া ভোট গণনা শেষে সরকারি ভাবে নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা না করে বেসরকারি ভাবে ফলাফল করেছে সেটি অবাক করার বিষয় নয় কি? তাই সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে পুনরায় ভোট গণনা করা জোর দাবি জানান।
সম্মেলনে জেলা নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন,সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক, এরশাদ চৌধুরী, লামা উপজেলা সভাপতি কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনসহ পার্বত্য নাগরিক পরিষদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।