শিরোনাম
সোম. ডিসে ২৩, ২০২৪

নুরুল আলম:: ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার দাখিলের ফলাফলে ভরাডুবি ঘটেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায়।

দাখিল পরীক্ষায় পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা থেকে ৪৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ১২ জন। পাশের হার শতকরা ২২.৬৮ শতাংশ। অপরদিকে মধ্যনগর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৫৩ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১০ জন। পাশের হার শতকরা ১৮.৮৭।

পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) ও মধ্যনগর দাখিল মাদ্রাসার ফলাফলের এই ভরাডুবিতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ। দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে ভরাডুবির মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

জানা যায়, নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসেই পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশাপাশি মধ্যনগর দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্রও এখানে। এবারের দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন অসুদপায় অবলম্বনের দায়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো. আবুল কাশেম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শিক্ষক সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে মুচলেকা দিয়ে কোন রকম জান বাঁচায়। বোর্ড পরীক্ষায় কতিপয় শিক্ষক চুক্তিতে নকল সরবরাহ করে থাকে বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন বর্তমান ও সাবেক কয়েক শিক্ষার্থী।

২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ জাকির হোসাইনের মৃত্যুর পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠান।

গভর্নিং বডি নিয়ে চলে চোর-পুলিশ খেলা। রাতের অন্ধকারেই সুপার ও তার দু’এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মাধ্যমেই তাদের ঘনিষ্ঠজন দিয়ে গঠন হয়ে যায় পরিচালনা কমিটি। তাই দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় ধরে নেই জবাবদিহিতা, নেই কোন হিসাব-নিকাশ, নেই কোন অডিট। সব ধরনের হিসাব-নিকাশের কাজ মাদ্রাসা সুপার নিজে করার পাশাপাশি অফিস সহকারীকে দিয়ে করানো হয় ছয়টি ক্লাস। সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দেয়া হয় গণিতের।

মাদ্রাসার ল্যাপটপ চুরি হলেও অদৃশ্য কারণে থানায় জিডি না করা, প্রণোদনার টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, পাড়া-প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা, পুরুষ পাবলিক টয়লেটের সাথে ছাত্রীদের নামাজের স্থান নির্মাণ এসব নিয়েও চলছে নানান গুঞ্জন।

পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবুল কাশেমের নিকট ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। তবে রেজাল্ট কেমন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন ভালো না। খারাপ।

এদিকে আশানুরুপ ফলাফল করতে পারেনি নালকাটা, বালিকা, উল্টাছড়ি ও পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়। নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৬ জন। পাশের হার ২৫.৭৪। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ জন অংশ নিয়ে ১৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৩০.৬১। উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭২ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৫ জন, পাশের হার শতকরা ৪৮.৬১। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০৯ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১১৫ জন, পাশের হার শতকরা ৫৫.০২।

এদিকে পুরো পানছড়ি উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে সু-প্রকাশ ত্রিপুরা। সে পানছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী।

পানছড়িতে দাখিলের ফলাফলে ভরাডুবি
নুরুল আলম:: ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষা ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এবার দাখিলের ফলাফলে ভরাডুবি ঘটেছে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায়।

দাখিল পরীক্ষায় পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসা থেকে ৪৪ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে মাত্র ১২ জন। পাশের হার শতকরা ২২.৬৮ শতাংশ। অপরদিকে মধ্যনগর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৫৩ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১০ জন। পাশের হার শতকরা ১৮.৮৭।

পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) ও মধ্যনগর দাখিল মাদ্রাসার ফলাফলের এই ভরাডুবিতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণ। দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে ভরাডুবির মূল কারণ বলে উল্লেখ করেছেন অনেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

জানা যায়, নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসেই পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র (আলিম) মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাশাপাশি মধ্যনগর দাখিল মাদ্রাসার কেন্দ্রও এখানে। এবারের দাখিল পরীক্ষা চলাকালীন অসুদপায় অবলম্বনের দায়ে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মাওলানা মো. আবুল কাশেম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী শিক্ষক সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে মুচলেকা দিয়ে কোন রকম জান বাঁচায়। বোর্ড পরীক্ষায় কতিপয় শিক্ষক চুক্তিতে নকল সরবরাহ করে থাকে বলেও নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন বর্তমান ও সাবেক কয়েক শিক্ষার্থী।

২০১৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সাবেক অধ্যক্ষ জাকির হোসাইনের মৃত্যুর পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে এই প্রতিষ্ঠান।

গভর্নিং বডি নিয়ে চলে চোর-পুলিশ খেলা। রাতের অন্ধকারেই সুপার ও তার দু’এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীর মাধ্যমেই তাদের ঘনিষ্ঠজন দিয়ে গঠন হয়ে যায় পরিচালনা কমিটি। তাই দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় ধরে নেই জবাবদিহিতা, নেই কোন হিসাব-নিকাশ, নেই কোন অডিট। সব ধরনের হিসাব-নিকাশের কাজ মাদ্রাসা সুপার নিজে করার পাশাপাশি অফিস সহকারীকে দিয়ে করানো হয় ছয়টি ক্লাস। সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক দিয়ে পাঠদান দেয়া হয় গণিতের।

মাদ্রাসার ল্যাপটপ চুরি হলেও অদৃশ্য কারণে থানায় জিডি না করা, প্রণোদনার টাকা বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম, পাড়া-প্রতিবেশীর চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা, পুরুষ পাবলিক টয়লেটের সাথে ছাত্রীদের নামাজের স্থান নির্মাণ এসব নিয়েও চলছে নানান গুঞ্জন।

পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আবুল কাশেমের নিকট ফলাফল সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। তবে রেজাল্ট কেমন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন ভালো না। খারাপ।

এদিকে আশানুরুপ ফলাফল করতে পারেনি নালকাটা, বালিকা, উল্টাছড়ি ও পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়। নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২৬ জন। পাশের হার ২৫.৭৪। বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৯ জন অংশ নিয়ে ১৫ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৩০.৬১। উল্টাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭২ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ৩৫ জন, পাশের হার শতকরা ৪৮.৬১। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০৯ জন অংশ নিয়ে পাশ করেছে ১১৫ জন, পাশের হার শতকরা ৫৫.০২।

এদিকে পুরো পানছড়ি উপজেলায় একমাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে সু-প্রকাশ ত্রিপুরা। সে পানছড়ি সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী।

 

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!