নুরুল আলম:: বিচারের বানী নিরবে কাদে অসহায়রা বিচার পায়না নির্যাতন নিপীরনের স্বীকার হয়ে বিচারকদের ধারে ধারে ঘুরছে। গুইমারা উপজেলার কালাপানি নামক স্থানে ভাই-বোনদের মধ্যে জায়গা-জমি, পারিবারিক বিরোধ ও বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি! এক পর্যায়ে থানায় মামলা।
জানা যায়, গুইমারার কালাপানি এলাকার খোরশেদা বেগম নামে এক অসহায় নারীর পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাথের উদ্দেশ্যে তারই ভাই আব্দুল কাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি ও শারীরিক ও মানিক নির্যাতন করে আসছে। সম্প্রতি খোরশেদা বেগম ও তার ছোটবোন আসমা আক্তারকে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে অন্যায় ভাবে আত্মসাৎপূর্বক বিদায় করে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজ বোনের স্বামী ফজর আলীকে দিয়ে মারধর ও বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারই প্রেক্ষিতে গত ২২ এপ্রিল খোরশেদা বেগম তার বোন কুলসুমের জায়গা থেকে ৬টি বাঁশ বিক্রয় করতে গেলে এতে বাঁধা দেয় এবং এক পর্যায়ে মারামারি সংঘটিত হয়। এমনকি গুইমারা থানায় মামলা দিয়ে হয়রানীর সাথে আব্দুল কাদের এর যোগসাজস রয়েছে বলে দাবি করেন খোরশেদা ও আসমা।
খোরশিদা বেগম অভিযোগ করেন বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ্য হওয়ায় চিকিৎসার জন্য আমার মেঝো বোন কুলসুম আ্কতার এর বাঁশ ঝাড় হইতে ৬টি বাঁশ বিক্রি করি। বিক্রি করা বাঁশগুলো ক্রেতা কর্তন করার পর বিবাদীগণ এসে বাঁধা দেয়। বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে ফজর আলীর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয় এক পর্যায়ে ফজর আলী আমাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধরক মারধর করা শুরু করে। লাঠির আঘাতে আমি মাটিতে লুটে পড়ি। এতে আমার পা মারাত্মক ভাবে ফুলা জখম হলে আমি তৎক্ষনাত মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা নেই।
চিকিৎসা শেষে ২৪ এপ্রিল গুইমারা থানায় এসে অভিযোগ করি। কিন্তু গুইমারা থানার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা অভিযোগটি আমলে না নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করা শুরু করে। পরে ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বিকালে স্থানীয় সাংবাদিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে মিমাংশা করার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের ১৫ দিনের ভিতর সমস্যাটি সমাধান করার জন্য থানায় আসমা সময় নেয়। পরে জানতে পারি আমার নামে এবং আমার ছোটবোন আসমার নামে গুইমারা থানায় মামলা হয়েছে। অথচ আমার ছোটবোন আসমা ঘটনার দিনে হাসপাতালে ছিলো তার ছেলের অসুস্থ্যতার কারণে। পরে আমাকে আদালতে চালান করে দেয়। পরে দুইজনই জামিনে মুক্তি পাই।
ফজর আলী শেখ এর কাছে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রকার সঠিক উত্তর না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
গুইমারা থানার অফিসার ইনর্চাজ মোঃ আরিফুল আমিনকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বিষয়টি দেখবেন বলেন জানান।