॥ মন মার্মা-রাঙামাটি ॥ দেশে মিঠা পানির মাছের অন্যতম উৎস কাপ্তাই হ্রদ। আজ থেকে এ হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকবে আগামী তিন মাস। মূলত কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির জন্য প্রতি বছরের মতো এবছরও তিন মাস মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।
২৫ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস প্রাথমিকভাবে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে, তবে হ্রদের পানির অবস্থা এবং বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে কিনা। নিষেধাজ্ঞাকালে রাঙামাটি জেলার সকল বরফ কল বন্ধ থাকবে। প্রশাসন এবং বিএফডিসি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রাখতে আগামী তিনমাস স্থানীয় বাজার ও কাপ্তাই হ্রদ সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করবে। রাঙামাটি জেলা ম্যাজিস্টেট ও জেলা প্রশাসক কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার বন্ধের উপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
গত বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাঙামাটি জেল প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
সভায় রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জোবাইদা আক্তার, বাংলাদেশ মৎস উন্নয়ন কর্পোরেশন এর কাপ্তাই হ্রদ ব্যবস্থাপক নৌ কমান্ডার মোঃ আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অধীর দাস, নৌ পুলিশ প্রতিনিধি, মৎস্য ব্যবসায়ীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও বংশ বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমে মাছ আহরণ ও বিপণনের ওপর তিন মাস মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়ে থাকে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞাকালে মাছ আহরণের ওপর নির্ভরশীল জেলেদের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে মাছ আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হবে। হ্রদে অবৈধ উপায়ে মাছ শিকারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার আশরাফুল আলম ভূঁইয়া জানান, সাধারণত, প্রতি বছর ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তবে এবার কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় ৫ দিন আগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।