নুরুল আলম:: খাগড়াছড়িতে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৬শে মার্চ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ ২০২৪) ভোর ৫টা ৪৯ মিনিটে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের চেঙ্গী স্কোয়ার স্মৃতিসৌধে ৩১ বার তোপধ্বনি ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করনে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
পরে খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার), সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রইছ উদ্দিন, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মেলেন্দু চৌধুরী, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ছাবের, উপজাতীয় শরনার্থী বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. কামরুল আলম ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এছাড়া খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শানে আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম,খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাব,খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে নান্না পেশাজীবি সংগঠন, এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর পাশাপাশি আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিক,ইউপিডিএফ গনতান্ত্রিক সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি জেএসএস (এমএন লারমা সমর্থিত জেএসএস)সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোসহ র্যালী,আলোচনা সভা,চিত্রাঙ্কন,দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নানান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘যাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের আজকের স্বাধীন বাংলাদেশ, যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, সেই সাথে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা মা-বোনের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। কামনা করি জয় হোক যুগে-যুগে বাংলার মেহনতি মানুষের, বারবার ফিরে আসুক আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস।