নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার তুমুল আলোচিত সমালোচিত পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ’র দীর্ঘদিনের বিরোধকৃত জায়গার সমাধানের লক্ষ্যে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ে শুনানী সম্পূর্ণ হয়েছে। এতে স্থানীয় জাফর আহম্মদ (মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক) ও মোশাররফ হোসেনসহ প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এসএম ফয়সাল ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা রকিবুল হাসান নিটোল এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুনিল কান্তি নাথও উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, সরকারি প্রতিষ্ঠান পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের জায়গায় নির্মিত জামে মসজিদটি অবৈধ দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় একটি মহল। প্রকৃতপক্ষে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা এর বন্দোবস্তি মামলা নং- ০১/রাম/২০১১-২০২ তারিখ-১৪/০৬/২০১২ মোতাবেক অন্যান্য দাগ ও ১৫৯৩ দাগসহ সর্বমোট ১৫২.১৬ একর ভূমিটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এর নামে নামজারী করা হয়। যাহার হালনাগাদ খাজনা পরিশোধ করা হয়েছে।
গত ৭ আগস্ট ২০১৭ জায়গাটি দখল পূর্বক ভূয়া কাগজপত্র জালিয়াতী করে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ১৫৯৩ দাগের ভূমির মধ্যে ১.০০ (এক) একর ভূমি মাস্টারপাড়া জামে মসজিদের নামে ১৯৮১ সালে বন্দোবস্তি কাগজ দাখিল করেন। যার কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেন রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল।
সাংবাদিকদের এক সাক্ষাৎকারে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল বলেন, মসজিদটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। সরকারি দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে যা করণীয় তাই করছি। এখানে আমার কোনো ব্যক্তিগথ স্বার্থকতা নেই। ১৯ মার্চ ২০২৪ সকালে রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মসজিদের জমি বিরোধের বিষয়টি নিয়ে শুনানী সম্পন্ন হয়। উক্ত শুনানীর প্রতিবেদন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এর মধ্যে দিয়ে জায়গাটির দীর্ঘদিনের বিরোধটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।