নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ রামগড় উপজেলার দ্বিতীয় জামে মসজিদ হিসেবে ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যাহা, রামগড় উপজেলাধীন রামগড় মৌজার ৮৬৫নং হোল্ডিং বন্দোবস্ত সিরিয়াল নম্বর-৭৭৯৬/৮০-৮১ দুই চৌহুদ্দি মূলে সেক্রেটারী, মাস্টার পাড়া জামে মসজিদের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়। সম্প্রতি উক্ত মসজিদের জায়গা স্থানীয় এক কৃষি গবেষণা কর্মকর্তা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে দখল করে মসজিদের নাম পরিবর্তন করার চেষ্টা করে। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর পক্ষে জাফর আহম্মদ ও মোশাররফ হোসেন জেলা প্রশাসকের নিকট সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ করেন।
জাফর আহম্মদ ও মোশাররফ হোসেন অভিযোগে উল্লেখ করেন, দুই চৌহুদ্দির মধ্যে ১ম চৌহুদ্দির ১ একর ভূমিতে মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ অবস্থিত এবং ২য় চৌহুদ্দির ৪ একর ভূমি রামগড় ইউনিয়ন এ অত্র মসজিদে টিলাভূমি অবস্থিত। শন শন রাজস্ব খাজনা আদায়ের মাধ্যমে মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ ভোগ দখলে বিদ্যমান। হঠাৎ বিগত কয়েক বছর পূর্বে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র উক্ত হোল্ডিংভূক্ত জায়গা বন্দোবস্ত মামলা নম্বর- ০১/রাম/২০১১ মূলে দাবি করে। এতে এলাকাবাসী মাস্টার পাড়া জামে মসজিদের যাবতীয় কাগজপত্র দেখিয়ে আপত্তি জানায়। হোল্ডিংভূক্ত ভূমি আত্মগোপন করে সরকারের ১নং খাস খতিয়ান দেখিয়ে পাহাড়ঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা. এসএম ফয়সাল তাহাদের নামে বন্দোবস্ত করে থাকে। কিন্তু তা হোল্ডিং মূলে মাস্টার পাড়া জামে মসজিদের নামে রেকর্ডভূক্ত ভূমি। বন্দোবস্তি মামলা নম্বর-০১/রাম/২০১১ বন্দোবস্তিকালে মালিক/দখলদার হিসেবেও মাস্টারপাড়া জামে মসজিদ এলাকাবাসীর নিয়ন্ত্রাধীন ছিল। কিন্তু, ইদানিং কালে তারা মসজিদ পরিচালনা, মসজিদের মালিকা দাবি, ধর্মীয় কর্মকান্ডে তাদের প্রভাব, মসজিদের নাম পরিবর্তন করেন। মাস্টার পাড়া জামে মসজিদ এর নামের স্থলে পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্র জামে মসজিদ নামে প্রতিস্থাপন করতে চায়। এর সুষ্ঠ সমাধান ও সঠিক তদন্তের মাধ্যমে মাস্টার পাড়া জামে মসজিদের হোল্ডিংভুক্ত ভূমির সঠিক সমাধানের করার দাবি জানায় স্থানীয় এলাকাবাসী।
এবিষয় রামগড় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কুমার কার্বারী জেলা প্রশাসককে বলেন, এটি স্থানীয়দের দীর্ঘ পুরোনো মসজিদ। কৃষি গবেষণার কর্মকর্তারা ২০১১ মসজিদটি নিয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে থাকে। বর্তমানে মাস্টারপাড়া মসজিদটি কৃষি গবেষণার নামে নাম করণ করায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান বলেন, জায়গাটি মুসলিমদের নামাজের জায়গা। এখানে দাঙ্গা-হামলা কিংবা একে অপরকে হয়রানী করার কোনো কারণ দেখছি না। এখানে সবাই একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করবেন। তবে যদি জায়গাটি কেউ জ্বাল জালিয়াতী করে নিজেদের নাম করতে চায় তাও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।