রক্ষানাবেক্ষনের অভাবে খোয়া যাচ্ছে সম্পদ
নুরুল আলম:: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলা সদরে খাদ্য গুদাম সংলগ্ন এলাকায় টাউন হলটি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে নির্মিত হয় ১৯৮২-৮৩ সালে। টাউন হলটি নির্মিত হলে র্দীঘদিন স্থানীয় জনগণ তার সুফল ভোগ করে আসলেও র্দীঘদিন পরে জরাজীর্ণ বিল্ডিংয়ের ফাটল ও ঘূর্ণিঝরে টিনগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ২০০৬-০৭ সালের দিকে উন্নয়ন বোর্ড তা পূণরায়র্ সংস্কার করে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে।
সে সময় টাউন হলে ছিল আসবাসপত্র,বৈদ্যতিক ফ্যানসহ যাবতীয় মালামাল। এরই ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত টাউন হল হিসাবে পরিচালিত হয়ে আসছিল। ২বছর ধরে টাউন হলের জায়গা দখল করে শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করাসহ সরকারি জায়গা দখল করে মালামাল রেখে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছেন বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। তারপরও দেখার কেউ নেই।
ইতিমধ্যে গুইমারা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে অডিটরিয়াম নির্মাণ হওয়া পর টাউন হলের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে টাউনের মালামালের দায়িত্বে ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনের। বর্তমানে তা রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে টাউন হলের আসবাসপত্র ফ্যানসহ কোনো মালামাল খোয়া গেছে।
প্রায় দুই বছর যাবৎ টাউন হল সংলগ্ন রামসু বাজার যাওয়ার পথে নির্মাণাধীন ব্রীজের শ্রমিকদের আবাস ভূমিতে পরিনত হয়েছে। টাউন হল হিসাবে ব্যবহার করার কোনো পরিবেশ নেই। টাউনের দায়িত্বে কে ছিলেন,কমিটিতে কারা ছিলেন এই নিয়েও প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
ইতিমধ্যে স্থানীয় সাংবাদিকরা টাউন হল পরিদর্শনে গিয়ে দেখে, শ্রমিকরা বসবাসের পাশাপাশি ব্রিজ নির্মাণের সামগ্রি যত্রতত্র ফেলে রেখেছে এবং টাউন হলের ফ্লোরের এবং দেয়ালের অবস্থা বেহাল অবস্থা হয়ে পরে আছে। এসব বিষয়ে উপস্থিত শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, এটি মাটিরাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক এর নিদের্শে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা এর থেকে বেশি কিছু জানি না।
পরে ঠিকাদার উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম এর যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ব্রিজটির কাজ আমি এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি করছি। টাউন হলে শ্রমিকদের থাকার জন্য কংজরী চৌধুরী থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি উন্নয়ন বোর্ডের এক কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা টাউন হল নির্মান করে দিয়েছি এলাকার স্বার্থে। তবে টাউন হলটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় প্রশাসন ও কমিটির। টাউন হলের মালামাল কেউ নষ্ট করলে তার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ি থাকবেন।
বিষয়টি নিয়ে গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরীর বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।