শিরোনাম
মঙ্গল. ডিসে ২৪, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:: পার্বত্য চট্টগ্রামের কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও বান্দরবানে মারমা জাতি উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানোর উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) তিন প্লাটুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়োগ করেছে একটি বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছে বলে মারমা ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি)’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

সম্প্রতি এমএনপি কমান্ডো মংথেন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এমএনপির একজন কমান্ডার এ কথা জানান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, যিনি লাইভে এসে জেএসএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তিনি এমএনপির মেজর রনি মারমা।

উক্ত ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, বান্দরবান ও রোয়াংছড়িতে সশস্ত্র কার্যক্রম জোরদার করেছে জেএসএস। একই সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এমএনপির শুভাকাক্সক্ষী, সমর্থক এবং জেএসএস বিরোধী সরকার দলীয় লোক, যারা তাদের সাথে সমন্বয় করে চলে না তাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে।

তিনি বলেন, জেএসএস সন্ত্রাসীদের গডফাদার সন্তু লারমা ও উষাতন তালুকদারের দিকনির্দেশনায় জেএসএস চাকমা সন্ত্রাসীর কাপ্তাইয়ে অবস্থানরত হিতৈশী বাবু, মায়া বাবু, অপু চাকমা, তুফান, কাজল চাকমা, তিলক মারমা এবং মারমাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, মারমা দালাল এসমং মারমা, তাইপ্রু মারমা অবস্থান নিয়েছে। তাদের উদ্যোশে বলতে চাই, আগামী ১ তারিখের (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে রাজস্থলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন, কাপ্তাই উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন এবং বিলাইছড়ি ও রোয়াংছড়ি থেকে সন্তু লারমা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রত্যাহার না করলে এবং এমএনপির কোনো সমর্থক বা মারমা সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির উপর একটি ফুলের টোকাও যদি পড়ে তাহলে এমএনপি যুদ্ধ ঘোষণা করবে।

এমএনপি কমান্ডার বলেন, প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করার জন্য যদি তিন পার্বত্য জেলায় এমএনপির সদস্যদের নিয়োগ করতে হয় তাহলে অবশ্যই করবো।

তিনি বলেন, সন্তু লারমা, আপনি যদি আপনার দলের কর্মীদের ১ তারিখের (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বান্দরবান থেকে সরিয়ে না নেন, তাহলে এবার যে যুদ্ধ হবে সে দায় সম্পূর্ণ আপনাকে বহন করতে হবে। এই যুদ্ধ থামানোর জন্য আপনার তখন কিছুই করার থাকবে না।

Related Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!