নিজস্ব প্রতিবেদক:: ২৬ দিন পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন হরতাল চলাকালে সন্ত্রাসী হামলায় আহত খাগড়াছড়ির দীঘিনালা মেরুং উত্তর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রবিউল আলম। তিনি খাগড়াছড়ির একটি বে-সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে মারা যান। গত ২০ নভেম্বর অবরোধ চলাকালে তিনি সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন।
খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক এম এন আবছারের অভিযোগ, ‘২০ নভেম্বর (সোমবার) বিকালে জেলার দীঘিনালায় সন্ত্রাসী হামলায় দিঘীনালা উপজেলা মেরুং উত্তর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি রবিউল আলমের বাড়িতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তার বাড়িঘর ভাংচুর করে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা রবিউল আলমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলায় আহত রবিউলকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। রবিউল চট্টগ্রামে একটি বে-সরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে রিলিজ দিলে দলীয় ও স্বজনরা খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মুবিনুল হক জানান, শনিবার পৌনে ১১টার দিকে রবিউল আলম মারা গেছেন।
রবিউল আলমের মামা ফজলুল কবির রনি বলেন, ‘ছেলেটা অনেকটা এতিম। আমিতো খাগড়াছড়িতে থাকি না, কারা হামলা করেছে আমি জানি না। তবে এ বিষয়ে দিঘীনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. কাসেমকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন না ধরায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ নিয়ে হরতাল-অবরোধে খাগড়াছড়িতে দুই জনের প্রাণ গেল। এর আগে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারায় সরকারি চালবাহী ট্রাকে অগ্নি-সংযোগের ঘটনায় দগ্ধ ট্রাক চালকের সহকারী বেলাল হোসেন (৩৫) শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থেকে মারা যান। অবরোধ চলাকালে গত (২৭ নভেম্বর) ভোরে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের গুইমারা উপজেলার হাফছড়ি এলাকায় অবরোধকারীরা ট্রাকে দুর্বৃত্তরা আগুন দিলে তিনি দগ্ধ হন।