রামগড়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি অবৈধ ইটভাটা সচল
নিজস্ব প্রতিবেদক:: খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলা অবৈধ ভাবে ৯টি ইটভাটার সকল কার্যক্রম অব্যাহত। প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়মনীতি অমান্য করে বনের কঁচিকাঁচা গাছ ও ফসলী জমি থেকে মাটি কেটে এসব অবৈধ ইটভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
সম্প্রতি রামগড় উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটা পরিদর্শনে দেখা যায়, ইতোমধ্যেই, দেদারসে অবৈধ ভাবে ইট তৈরি কাজ শুরু হয়েছে। ফসলী জমি থেকে মাটি কেঁটে সরকারি সংরক্ষিত ও ব্যক্তিমালিকাধীন বনের ছোট বড় গাছ কেটে স্তুপ করা হচ্ছে। ইটভাটা গুলো মহাসড়কের পাশে হওয়া পথচারিরা বিভিন্ন সমস্যার মূখে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এছাড়াও এলাকাটি জনবসতি সম্পূর্ণ হওয়া কোমলমতি শিশুরা ও বৃদ্ধরা হাঁপানিসহ বিভিন্ন মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মুখে ঢেলে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রামগড়ে অবৈভাবে পরিচালিত ইটভাটাগুলো হচ্ছে- হাজেরা ব্রিকস, নুরুল ইসলাম ব্রিকস, নুরজাহান ব্রিকস, এন.এম. ব্রিক ম্যানুফেকচারিং, আপন ব্রিকস ২, মেঘনা ব্রিকস-১, এমএসপি ব্রিকস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি জানায়, একেতো ইটভাটাগুলোর ধোঁয়ায় ছেলে মেয়েরা ঘরে বাহিরে হাঁটাচলা করতে পারে না। তার ভিতর মহা সড়কের পাশে বেশকিছু ইটভাটা হওয়ায় এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পথচারি যাতায়াতের সময় বিভিন্ন সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। এছাড়াও ইটভাটায় ব্যবহৃত গাড়ি চলাচলের কারনে ধুলাবালিতে বসিভুত হয়ে যায় আসেপাশের এলাকা।
সচেতন মহলের অভিযোগ, এভাবে সরকারি নিয়ননীতি না মেনে অবৈধ ভাবে লোকালয়ের মাঝে ইটভাটা স্থাপন, বনের কঁচিকাঁচা গাছপালা কেটে ইটপোড়ানো ও ফসলী জমি থেকে মাটি উত্তোলন করে ইটভাটার কাজ পরিচালনা করা আইনবর্হিভুত। এসব অবৈধ ইটভাটা পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে অচিরেই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে এরা দিন দিন ব্যপরোয়া হয়ে উঠবে এবং আসপাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষ মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরবে, তাছাড়া পরিবেশ হারাবে তার নিজস্ব ভারসাম্য।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসা মমতা আফরীন এর সাথে অবৈধ ভাবে জ্বালানী কাঠ ব্যবহার করে ইটভাটার কার্যক্রম পরিচালনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিগ্রই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’